
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন শিশিরের বিরুদ্ধে প্রবাসীর মেয়েকে (২৭) বিয়ের প্রলোভনে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত ইমরান হোসেন শিশির কাপাসিয়ার তরগাঁও ইউনিয়নের সাফাইশ্রী গ্রামের আব্দুর রশিদ মাস্টারের ছেলে। তিনি কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক আহবায়ক ও বর্তমানে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্বে আছেন।
অভিযোগের বিষয়ে ভিডিও সাক্ষাৎকারে ভিকটিম বলেন, ইমরান হোসেন শিশিরের সঙ্গে ছয় বছর আগে পরিচয় হয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সেই সূত্র ধরে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন শিশির। গত ছয় বছরে তারা একসঙ্গে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন রিসোর্ট এবং ভারতে ঘুরতে নিয়ে যান। ওই সময়ে আবাসিক হোটেল ও বিভিন্ন রিসোর্টে অবস্থানকালীন একান্ত ভিডিও এবং খুবই ঘনিষ্ঠ কিছু স্থিরচিত্র প্রতিবেদকের কাছে হস্তান্তর করেন। ভিকটিমের অভিযোগ, গত ছয় বছরে তিনি চার থেকে পাঁচবার অন্তঃসত্ত্বা হলে পদ হারানোর কথা বলে গর্ভপাত করান শিশির। বিয়ের চাপ দিলে ছাত্র রাজনীতি শেষ করে বিয়ে করবেন বলে তাকে প্রতিশ্রুতি দিতেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিরোধী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় শিশিরের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে তার ফ্রান্স প্রবাসী বাবা এবং জার্মান প্রবাসী ভাইয়ের কাছ থেকে নিয়ে তাকে ১২-১৫ লাখ টাকা দেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শিশির পুরো পালটে যায় এবং তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করছেন না। ফোন দিলে কেটে দিচ্ছেন। এ বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে জানিয়েছেন। রাকিব তাকে বিষয়টির সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্ত শিশির তাতেও পাত্তা দিচ্ছেন না বরং বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি দিচ্ছেন। ফলে ভিকটিম জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগ করেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেন শিশিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ মোটেও সত্য নয়, ওই মেয়ে কেন এসব কথা বলছে তা আমি বলতে পারব না, প্রয়োজনে আমি আপনাকে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে পারব এবং রোববার বিকালে এসে দেখা করব। পরে বাবুল নামে একজন ফোন দিয়ে বলেন, সোনিয়া আছে না সে আমার মেয়ে। নিউজটা একটু রাখেন। আপনার সঙ্গে আগামীকাল বিকালে এসে দেখা করব। কিন্তু তিনি ভিকটিমের নাম ভুল ও তার পিতার নাম আফসাদ উদ্দিনের পরিবর্তে বাবুল বলেছেন।