
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে এখন আইন- কানুন, বিধি-বিধান পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ধারণা নিতে এ সংক্রান্ত আইন-বিধি পর্যালোচনা শুরু করেছি। সেই সঙ্গে সবার লিখিত মতামত ও তথ্য পেতে এক সপ্তাহের মধ্যে ইমেইল ঠিকানা, ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট তৈরি করা হবে।’
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ অক্টোবর আট জনের এ কমিশন গঠিত হয়। ৯০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে কমিটির।
সংস্কার কমিশনের তৃতীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা যথা সময়ে কাজ শুরু করেছি। এখন আইন-কানুন বিধি-বিধান পর্যালোচনা করছি, যাতে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা হয়। সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি, যাতে সংস্কার করতে পারি।’
তিনি জানান, সবচেয়ে বড় আইন হলো গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও)। আরপিও গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এরপর সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন আছে, ভোটার তালিকা আইন আছে, ইসি সচিবালয় আইন আছে— এরকম অনেকগুলো আইন আছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন আছে। সেগুলো নিয়েও পর্যালোচনা করতে হবে। পর্যালোচনা করে সেসব বিষয়ে সুপারিশ করতে হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক— এমন অনেক কাজ বিস্তৃত, যেগুলো পর্যালোচনা করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, ‘কমিশনে নিয়োগের আইন অগ্রাধিকার। সরকার যখন চাইবে, আমরা আশা করি, তখনই আমরা ওনাদের একটা খসড়া দিতে পারবো।’
বদিউল আলম মজুমদার জানান, সংস্কার কমিশনের নির্বাহী ক্ষমতা বা এখতিয়ার নেই৷ এটা সরকারের বিষয়। যদি সিদ্ধান্ত দিতে হয় সরকারকে দিতে হবে।
সোমবারের বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে মিটিংয়ে যেটা করেছি, আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এতে কী থাকা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ফেসবুক পেজ হবে, আমাদের ই-মেইল হবে। সবার কাছ থেকে তথ্য, প্রস্তাব, সুপারিশ এগুলো আমরা চাইবো। ওয়েবসাইট ইসির ওয়েবসাইটের সাব-ডোমেইন হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যাবে।’