
স্পোর্টস ডেস্কঃ
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গতকাল দুপুরে বাফুফে ভবনে এসেছিলেন। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জানিয়েছেন, ‘ক্রীড়া উপদেষ্টা এসেছিলেন বাফুফে ভিজিট করতে।’ সবার সঙ্গে কথা বলে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বসে আসিফ বলেন, ‘চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামটিকে সঠিক যত্ন করলে এটিকে কাজে লাগানো যায় কি না আমরা দেখছি।’
তিনি বলেন, ‘দেশে যথেষ্ট মাঠ আছে। প্রপার ম্যানেজমেন্ট না হওয়ার কারণে খেলা হচ্ছে না। কিছুটা সংস্কার করা হলে ফুটবলের পূর্ণ স্টেডিয়ামের রূপ দেওয়া যায়। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম রয়েছে ক্রিকেটের জন্য। আমরা ভাবছি, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ফুটবলের জন্য ডেডিকেটেড করে দিব। পাশাপাশি অন্য মাঠ যেগুলো রয়েছে সেগুলো সংস্কার করার কথা জানিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।’
তিনি বলেন, ‘মাঠই খেলার মূল প্রতিবন্ধকতা বলে আমি মনে করি না। ফুটবল মাঠের দিকে অবহেলা ছিল, ক্রিকেটের মাঠের দিকেও অবহেলা ছিল। শুধু বাফুফে-বিসিবি নয়, সব ফেডারেশনই দেখেছি। এক পরিবারের সব সদস্য ফেডারেশনে সদস্য হয়ে বসে আছেন। আমার কাছে প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশের স্পোর্টসটা কীভাবে বেঁচে আছে। মনে হচ্ছে এটা মানুষের আগ্রহের কারণেই বেঁচে আছে।’
বাফুফের ব্যাপারে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘সব সময় বলা হয় এখানে কথা বললে নিষিদ্ধ হওয়ার একটা চান্স থাকে। পজিটিভ দিক থেকে বলব আমাদেরও কিছু কাজ করার আছে। বাংলাদেশ সরকারের যদি কিছু নাই থাকে, তাহলে তো নামেরই সার্থকতা থাকে না। সুযোগ-সুবিধার জায়গায় মাঠ বলেন বা অন্য কিছু সেখানে অবশ্যই সরকারের সহযোগিতা করার সুযোগ আছে। সেই জায়গা থেকে আমরা একটা পলিসি নিয়েছি, ইতিবাচক হস্তক্ষেপের কথা বললেও সেটা সবার সঙ্গে কথা বলে আমাদের পক্ষ থেকেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’
তৃণমূলে ফুটবল না হওয়া প্রসঙ্গে বাফুফেকে দায়ী করলেন আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আসলে জেলাগুলো ভোট হিসেবে কাজ করে। সেটি ঠিক না। এই জেলাগুলো কীভাবে সঠিকভাবে কাজ করবে সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রয়োজনে ফুটবলের সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে ফিফার সঙ্গেও কথা বলব।’ বাফুফের নির্বাচন নিয়ে যাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে দুঃখজনক হলেও তাদের কাছ থেকে পজিটিভ কিছু পাননি বলে জানান আসিফ।