
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) বিভিন্ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নিয়োগ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে কমিটি করা হয়েছে। ৩০ অক্টোবর এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী ৬ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি করেন। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (রাজশাহী বিভাগ) জুলফিকার আলীকে আহ্বায়ক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রশাসন, শৃঙ্খলা ও তদন্ত) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জনা যায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের নির্দেশে এই কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এলজিইডি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও এলজিইডিতে কর্মরত প্রথম শ্রেণির সকল ব্যাচের প্রতিনিধিগণের উপস্থিতিতে এ প্রতিষ্ঠানে চাকরি সংক্রান্ত সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে গঠিত কমিটিতে অপর সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. এনামুল হক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পিডি, প্রগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল বিজেস) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রকিউরমেন্ট) মো. নজরুল ইসলাম ও আরবার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিটি গভরন্যান্স প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রউফ। কার্যপরিধি ঠিক করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের চাকরি সংক্রান্ত সমস্যাচিহ্নিত ও সামাধানের সুপারিশ প্রস্তুত করে কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, ১৫ বছর ধরে রাজস্ব খাতে নিয়োগ নিয়ে চরম বৈষম্য দেখা দেয় প্রতিষ্ঠানটিতে। এলজিইডির কর্মকর্তারা পদোন্নতিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে। যে কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়।
প্রসঙ্গত, ২৮ অক্টোবর ‘পিএসসির মতো ছাড়া তিন হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ, এলজিইডির নিয়োগ বিধি তছনছ’ শিরোনামে যুগান্তরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মূলত এরপরই বিষয়টি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়।