
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মোংলা বন্দরকে বিশ্বমানের নিরাপদ ও আধুনিক সমুদ্রবন্দরে পরিণত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে খুলনায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়ে এ কথা জানান।
মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করা হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মোংলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর। ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় এ সমুদ্র বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনীতিতেও বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দরটির সড়ক পথে দূরত্ব মাত্র ২১০ কিলোমিটার। এ ছাড়াও বন্দরটির সাথে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য প্রান্তের রেল ও নৌযোগাযোগ রয়েছে। সুতরাং এ বন্দরটিকে পিছিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই। মোংলা বন্দরকে আরো আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য বেশ কিছু প্রকল্প চলমান রয়েছে ও কিছু প্রকল্প ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, চলমান প্রকল্পগুলো যথা নিরাপদ চ্যানেল বিনির্মাণ, সমুদ্রগামী জাহাজ সুষ্ঠুভাবে হ্যান্ডলিং এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জরুরি উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য ‘মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ’, ‘মোংলা বন্দরে আধুনিক বর্জ্য ও নিসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্প, ‘আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট’ শীর্ষক প্রকল্প, ‘পশুর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং” শীর্ষক প্রকল্প, ‘মোংলা বন্দরের ২টি অসম্পূর্ণ জেটি নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন প্রকল্পসমূহ হচ্ছে-মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্প,মোংলা বন্দর চ্যানেলে ৫ বছর মেয়াদি সংরক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প, পশুর চ্যানেলে নদীশাসন এবং মোংলা বন্দরের আরো সম্প্রসারণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ সব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরের বার্ষিক সক্ষমতা বাড়বে। চ্যানেলে ৮.৫ সিডি গভীরতা অর্জিত হবে। এতে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ মোংলা বন্দরে হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে। মোংলা বন্দরে বার্ষিক প্রায় ৮ লাখ টিইউজ কন্টেইনার, ৪ কোটি মেট্রিক টন কার্গো এবং ৩০ হাজার গাড়ি হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বাড়বে।
এ সময়ে বন্দরের কার্যক্রমকে আরো বেশি গতিশীল ও আমদানি-রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করতে রাজস্ব বিভাগকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মোংলা বন্দরে স্ক্যানার স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করেন উপদেষ্টা। বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য ড্রেজিং এর প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের জন্য নিজস্ব ২টি ড্রেজার ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান এবং বন্দরের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।