
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানীতে ঘটলো এক রহস্যজনক ঘটনা! লাখ টাকা ঋণ পাওয়ার আশায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং শাহবাগ এলাকায় জড়ো হতে থাকে লোক। সাধারণ শিক্ষার্থী, পুলিশ ও এলাকাবাসী বলছে, সরকারবিরোধী মহাসমাবেশের ডাক দিয়ে একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করেছিল। তবে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির দাবি, এটি কোনো সরকারবিরোধী কর্মসূচি ছিল না। রোববার (২৪ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত বাস, মাইক্রোবাস, পিকআপে করে মানুষ জড়ো হতে থাকে ঢাবির টিএসসি এবং শাহবাগ এলাকায়।
গ্রামের সাধারণ মানুষকে টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জড়ো করা হচ্ছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাবি শিক্ষার্থী ও পুলিশ মিলে জড়ো হওয়া মানুষ এবং তাদের যানবাহনগুলো ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
শাহবাগে জড়ো হওয়া লোকদের দাবি, তাদেরকে বিনাসুদে লোন দেয়া হবে জেনেই তারা ছুটে এসেছিলেন এখানে।
তবে সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বলছেন, একটি চক্র কৌশলে রাতের আঁধারে ঢাকার শাহবাগ ও ঢাবি এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা দখলের পাঁয়তারা করেছিল। এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনাসুদে লোন দেয়ার লোভ দেখিয়ে সারা দেশ থেকে লোক জড়ো করে সরকারবিরোধী সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছিল।
এরপর দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ এলাকায় আসেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের আয়োজকদের আটক করা হয়েছে জানতে পেরে তিনি শাহবাগ থানায় যান। কথা বলেন পুলিশের সঙ্গে।
পরে সাকি সাংবাদিকদের জানান, পুরো বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে তথ্য যাচাই বাছাই চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।