
অনলাইন ডেস্কঃ
শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচারের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, আমরা বুলেট ক্রস করেছি, আগামী দিনে যদি ব্যালটের রেভল্যুশন (নির্বাচন) আসে সেটাও মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। তবে সেটা বিচারের আগে নয়। বিচার হবে, এরপর নির্বাচন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় নাগরিক কমিটি আয়োজিত বিজয় র্যালি শেষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন প্রতিনিয়ত দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত করে যাচ্ছে। আগামীতে যত আক্রমণ আসুক রক্ত দিয়ে সব আক্রমণ প্রতিহত করব।
তিনি বলেন, গত ৫৩ বছরের ফ্যাসিস্ট রাজনীতি ও ’২৪ এর খুনের বিচারবিহীন কোনো দল যদি বাংলাদেশে থেকে যেতে চায়, তাদের আমরা ওয়াশআউট করব, দেশ থেকে বিতাড়িত করব। বিচারের আগে কোনো নির্বাচন নয়। আগে বিচার পরে নির্বাচন।
আগামী দিনে যারাই বিচারের আগে কোনো নির্বাচনের পাঁয়তারা করবে, তাদেরকে জাতীয় শত্রু ও বেইমান হিসেবে ধরে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত হতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে নাগরিক কমিটির এ নেতা বলেন, সামনে এখন দুটি শত্রু। একটি হলো মুজিববাদ, আরেকটি হিন্দুত্ববাদ। এই দুই শক্তিকে দক্ষিণ এশিয়ায় মোকাবিলা করতে হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, একাত্তরে শেখ মুজিবুর রহমান পারিবারিক মুজিববাদ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছিলেন। মুজিববাদ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সার্বভৌমত্বকে ভারতের কাছে লিজ দিয়েছিল। মুজিববাদ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নাগরিকদের হয় দালাল বানিয়েছেন, নাহয় দাস বানিয়েছেন। আমাদের নাগরিক হয়ে উঠতে দেয়নি। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের পরে সুযোগ হয়েছে নাগরিক হয়ে ওঠার।
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটর থেকে শুরু হয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির বিজয় র্যালিটি শাহবাগ, আজিজ সুপার মার্কেট, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, নীলক্ষেত, পলাশী হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় যায়। সেখানে তখন আরেকটি কর্মসূচি চলছিল। তাই মিছিলটি টিএসসি হয়ে শাহবাগে এসে বিকেল ৫টায় শেষ হয়। সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।