
অনলাইন ডেস্কঃ
২১ ফেব্রুয়ারি রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গুনবতী কলেজের ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার ভাঙচুরের ঘটনার তদন্তে উপজেলা প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষ দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি ঘটনার ক্লু খুঁজে বের করতে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থা।
আজ শনিবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শহীদ মিনার ভাঙা একটি স্পর্শকাতর বিষয়। আমরা এটিকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোবায়ের আহাম্মেদ, সদস্যরা হলেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম মীর হোসেন।
গুনবতী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ বলেন, শহীদ মিনার ভাঙচুরের ঘটনায় কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী অধ্যাপক সরোয়ার ওসমানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে কলেজ প্রশাসন ও বিএনপির নেতারা পুষ্পমাল্য অর্পণের পর শহীদ মিনার ত্যাগ করেন। এরপর রাতে শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভেঙে ফেলে দুষ্কৃতকারীরা। এতে সকালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে পারেনি এবং প্রভাত ফেরি অনুষ্ঠিত হয়নি।