
অনলাইন ডেস্কঃ
বিগত ১৬/০১/২০২৫ ইং তারিখে অন লাইন জাতীয় দৈনিক প্রথম সময় নিউজ ডটকমে প্রকাশিত ” পিজি হাসপাতাল : আওয়ামী আমলে পদন্নোতি পাওয়া সেই ডাক্তারের এই আমলেও পদন্নোতি ” এবং ১৪/০২/২০২৫ ইং তারিখে ডাক্তার ওমর ও ডাক্তার ফারাহ’র পরকিয়া শীর্ষক খবর দুইটির প্রতিবাদ জানিয়েছেন পিজি হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ডাক্তার ওমর সাদিক।
প্রতিবাদে তিনি লিখেছেন, প্রথম খবরে উল্লেখ করা হয়েছে যে আমার নিয়োগ আমার পিতার সচিব কোটায় হয়েছে। এছাড়া বিগত সরকারের আমলে এবং অতিসম্প্রতি পাওয়া আমার পদন্নোতি নিয়েও নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণীত এবং ভিত্তিহীন।
প্রথমত আমি ২০০৩ সালে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাই। সচিবকোটা নামে আদৌ কোনো কোটার কোনো অস্তিত্ব নাই এবং এধরনের কোনো কোটা সুবিধার সুযোগ আমি গ্রহন করি নাই।
আমার চাকুরী জীবনে দীর্ঘদিন দক্ষতা এবং সুনামের সাথে দায়িত্ব পালনের পর ২০১৮ সালে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে আমার পদন্নোতি হয়। এরপর ২০২৪ সালে স্বাভাবিক নিয়মে যথাযথ সময়ে আমি আবার পদন্নোতি পাই। আমার সুনাম এবং দক্ষতায় ঈর্ষান্নিত হয়ে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে এইসব মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ আনয়ন করছে।
প্রতিবেদনে আমার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আমি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানাচ্ছি যে এইসব ভিত্তিহীন অভিযোগ অস্বীকার করে উক্ত প্রতিবেদককে আমি পদন্নোতির বিষয়ে যথাযথ কতৃপক্ষের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেই। রেজিস্ট্রার সাহেবের কাছ থেকে আমার সম্পর্কে উল্লেখিত অভিযোগের জবাব প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে যা আমার বক্তব্যকেই সমর্থন করে।
দ্বিতীয় খবরটিতে আমার এবং জনৈক জুনিয়র ডাক্তারকে জড়িয়ে যে অনৈতিক সম্পর্কের কল্পকাহিনী তৈরি করা হয়েছে তা শুধু মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াটই নয় বরং সাংবাদিকতা এবং মানবিক মানদন্ডে সম্পূর্ন অনৈতিক। মেয়েটির সাথে আমার পেশাগত সম্পর্কের বাইরে অন্য কোন সম্পর্ক নেই।
আর রোগী মারা যাওয়ার বিষয়ে বলতে চাই যে, ওটা জটিল ও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন ছিল, এমনকি রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনাও ছিল জেনেই রোগীর অবিভাবকগন এর যথাযথ সম্মতিক্রমে অপারেশনটি করা হয়েছিল। এখানে অপারেশন জটিলতার জন্য রোগী মারা যায়নি।।
প্রতিবেদনে মুখরোচক পরকিয়া সম্পর্কের যে বর্ননা দেয়া হয়েছে তা সর্বত্রভাবে মিথ্যা। এমনকি ডাক্তার ফারাহ’র মা যিনি আইনসম্মত অবিভাবক তিনিও এধরনের অনৈতিক সম্পর্ক থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে। অর্থাৎ পদন্নোতি ও অনৈতিক সম্পর্কের উভয় অভিযোগ হাসপাতাল কতৃপক্ষ এবং ডাক্তার ফারাহ’র আইনসম্মত অভিভাবক দ্বারা প্রত্যাখান করা হয়েছে।
আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, এবং একই সঙ্গে এ ধরনের কুচক্রী মহলের প্ররোচনা থেকে বের হয়ে পেশাদার সাংবাদিকতার আহবান জানাচ্ছি।
খবর বিজ্ঞপ্তি।