
অনলাইন ডেস্কঃ
রোববার (৯ মার্চ) বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের খোয়াজপুরে অ্যাম্বুলেন্সে একে একে আসা হয় সাইফুল সরদার, তার বড়ভাই আতাউর ও চাচাতো ভাই পলাশের মরদেহ। আজাহারিতে ভারি হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ। নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
প্রিয়জনকে একনজর দেখতে ভিড় করেন স্বজনরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। পাড়া-প্রতিবেশিও শোকে পাথর। এমন মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তারা। পরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় নিহত তিনজনের মরদেহ।
স্বজনরা জানায়, কীর্তিনাশা নদী থেকে বালু উত্তোলন নিয়ে সদর উপজেলার খোয়াজপুরে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সরদারের সঙ্গে বিরোধ হয় প্রতিবেশী ব্যবসায়ী শাজাহান খান ও হোসেন সরদারের। এরই জেরে শনিবার (৮ মার্চ) সকালে খোয়াজপুর সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সামনে একা পেয়ে সাইফুলের উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এ খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে সাইফুলের ভাই ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। এ সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাইফুল ও তার বড়ভাই আতাউর সরদারকে। আহত হন অন্তত ৫ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। পরে বিকেলে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাইফুলের চাচাতো ভাই পলাশ সরদার।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি জানাজায় অংশ নেন জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। দলের কোনো নেতাকর্মী জড়িত থাকলে ছাড় নয় উল্লেখ করে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন জেলা বিএনপির এই নেতা।
রোববার সকালে নিহত সাইফুলের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৪৯ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় এলাকায় মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ। নিহত সাইফুলের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, চুরি, ছিনতাইসহ অন্তত ৮টি মামলা রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।