
অনলাইন ডেস্কঃ
যশোরে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে চার বছরের কন্যাশিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ নিয়ে তুলকালাম ঘটেছে। বুধবার বিকালে অভিযুক্ত শিশুকে হেফাজতে নেয় কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এ সময় অভিযুক্তকে কয়েক দফায় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধ একদল শিক্ষার্থী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে থানার এক কনস্টেবল হামলার শিকার হন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিশুকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন কন্যাশিশুর পিতা। ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত শহরের সার্কিট হাউজপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা অভিযোগ করেছেন, তিনি, তার স্ত্রী ও ছেলে কাজে বাইরে ছিলেন। দুপুরের খাবার খেতে তিনি বাড়ি এসে দেখেন তাদের প্রতিবেশীর পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে তার মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টা করছে। এ সময় তিনি মেয়েকে উদ্ধার ও ছেলেটিকে আটক করেন; কিন্তু ছেলেটি তার হাত থেকে ছুটে পালিয়ে যায়।
এদিকে শিশুটির ভাইয়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে যশোর সরকারি এমএম কলেজ ও জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা করে। সেখানে অভিযুক্তের পিতা ও তাদের বাড়িওয়ালার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পালটাধাওয়া হয়।
এরপর বিক্ষোভকারীরা থানায় এসে অবস্থান নেয়। বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে থানায় নেওয়ার সময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা হামলা চালায়। এছাড়া বিকাল ৫টার পর থানা ভবনের ভেতরে এক ব্যক্তিকে মারধর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থানায় কর্তব্যরত পুলিশ তাদের ভবনের বাইরে নিয়ে যেতে চাইলে এক পুলিশ সদস্যকে ধাওয়া করে বিক্ষুব্ধরা। ওসির কক্ষে হেফাজতে থাকা ওই শিশুকে কয়েক দফা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও মারধর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় থানার ভেতরে তারা ধর্ষকবিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এ অবস্থায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশারসহ কর্মকর্তারা কোতোয়ালি থানায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, চার বছরের কন্যাশিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তার বয়স নির্ধারণে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ধ্যায় আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।