
অনলাইন ডেস্কঃ
ঈদ উপলক্ষে দেশের ব্যস্ততম ও বৃহত্তম নৌ-রুট পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট রুটে নির্বিঘ্নে যাত্রী পারাপার নিশ্চিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।
যন্ত্রাংশ মেরামত করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোট। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে পোশাকধারী র্যাব ও সেনাবাহিনীসহ সাদা পোশাকে পুলিশ। থাকবে জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমাণ আদালতও।
‘ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ’ আর ঈদের এ আনন্দের মধ্যে যে বিষাদের রূপ নেয়, অনেক সময় দুর্ঘটনায়। তবে এ জন্য প্রস্তুত পুরো ঘাট। ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, তাই এবার আসন্ন ঈদে যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্ন করতে, ৩৩টি লঞ্চ, ২২টি ফেরি ও ৬৩টি স্পিডবোট প্রস্তুত রেখেছে তারা। শুষ্ক মৌসুম হলেও, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অতিরিক্ত নৌ-যান প্রয়োজন হবে না বলছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা- কাজিরহাট নৌ-রুটের ডিজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, এ বছর শুষ্ক মৌসুমে ঈদ হতে যাচ্ছে। সাধারণত ঝড় বৃষ্টির ঝড়ো হাওয়া থাকলে ফেরি বন্ধ থাকে। যদি আবহাওয়া অনুকূল থাকে যে কটা ফেরি আছে তা নিয়েই আমরা নির্বিঘ্নে এ ঈদের যাত্রী পার করতে সক্ষম হব।
এদিকে বন্দর কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ জানান, আবহাওয়ার সংকেত দেখিয়ে চলবে লঞ্চ ও স্পিডবোট। বাড়তি ভাড়া ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেবে বিআইডব্লিউটিএ। স্পিডবোটে অবশ্যই লাইভ জ্যাকেট পরতেই হবে যাত্রীদের। এর ব্যতিক্রম ঘটলে আমরা কঠিন ব্যবস্থা নেব।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের শীর্ষ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদ খান জানায়, যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে, ঘাটে ঈদের আগে ও পরে প্রস্তুত থাকবে ডুবুরি সদস্যসহ ফায়ার সার্ভিস।
হাইওয়ে থানা পুলিশ জানিয়েছে, ঘাটের যানজট ও মহাসড়কের লক্কর-চক্কর ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন সামাল দিতে প্রস্তুত হাইওয়েসহ ট্রাফিক পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোহা. ইয়াসমিন খাতুন জানান, মলম-পার্টি, গামছা-পার্টি, অতিরিক্ত ভাড়া, যেকোনো অনিয়ম ঠেকাতে কাজ করবে থানা ও জেলা পুলিশ।
এদিকে জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ, থাকবে কন্ট্রোল রুম থেকে শুরু করে ভ্রাম্যমাণ আদালতও। ছাড় দেয়া হবে না অনিয়মকারী নৌ-যাত্রীদেরও।
তিনি আরও জানান, পাটুরিয়া দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজিরহাট নৌ-রুটে স্বাভাবিক সময়ে ৩ থেকে ৪ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। আর ঈদের সময় এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় তিন থেকে চার গুণ।