
অনলাইন ডেস্কঃ
সাবেক কাউন্সিলর টিপু, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা টিটো ও মহিলা আওয়ামী লীগের ৭জনের নাম উল্লেখ করে ৬৭ জনের নামে মামলা করেছেন ফাতেমা-তুজ-জোহরা (লিভা)। খুলনা সদর থানায় গত ১৮ মার্চ মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন ফাতেমা, রিক, রিক্তা পারভীন, মেগার মোড়, খালিশপুর, আলী আকবার টিপু, সাবেক কাউন্সিলর, ২৫নং ওয়ার্ড, শিমরাত মুক্তা, মেগার মোড়, খালিশপুর, আইরিন চৌধুরী নিপা, বসুপাড়া, খুলনা , চিসতি মোস্তারী বানু, হাটেল সিটি ইন এর পিছনে, আঁখি, খালিশপুর হাউজিং, খালিশপুর, ফইজুল ইসলাম টিটো, বাইতীপাড়া, খুলনা সহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন আসামী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদী একজন মহিলা উদ্যোক্তা। রয়েল মোড়ে বাদীর কাপড় ও কসমেটিক্স (ভ্যারাইটিস ষ্টোর) এর দোকান আছে। বাদী এবং তার স্বামী বিএনপি’র সাথে রাজনৈতিক ভাবে জড়িত। বিগত ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আসামীগণ গত ১৬ জানুয়ারি ২৪ বাদীকে ডাকতে বলেন এবং আসাশীরা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় চিল্লাপাল্লা শুনে বাদী ক্যাশের সামনে এসে আসামীদের নিকট চিল্লাপাল্লার কারণ জিজ্ঞাসাব করলে আসামীরা পুনরায় তার নিকট চাঁদা দাবী করে।
তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করিলে আসামীগন দোকান ভাংচুর শুরু করে। ১, ২, ৩নং আসামী তাদের ব্যাগের ভিতর হতে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি করার হুমকী দেয় এবং ১ ও ২নং আসামী দোকানের ক্যাশে রক্ষিত নগদ ২(দুই লক্ষ) টাকা ও দোকানের তাক থেকে আনুমানিক ৮০ হাজার টাকা মূল্যমানের কসমেটিক্স ও ড্রেস লুট করে।
এসময় আসামীদের তান্ডবে দোকানের আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। পরে উপরে বর্ণিত আসামী সহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে চলে যাওয়ার সময় তাদের নিকট থাকা ০২(দুই) টি ককটেল আমার দোকানের সামনে বিস্ফোরন ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে।
ঘটনার আশেপাশের লোকজান দেখলেও সরকার দলীয় ক্যাডার হওয়ায় তখন কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে নাই। পরবর্তীতে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের গত ৫ই আগষ্ট পতন ঘটিলে বাদী স্বজনদের সাথে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করেছেন।
খুলনা থানার ওসির কাছে জানতে চাইলে মামলা রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন।