
বিশেষ প্রতিনিধি:
খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একঝাঁক তরুন নেতা এবার লাইম লাইটে। ৫ আগস্ট দল ক্ষমতাচ্যুত হবার পরে আলোচিত এসব তরুন নেতারা দলের মাঠ পর্যায়ের জেলা ও নগরের হাজার হাজার নেতা- কর্মীদের ধরে রেখেছেন। অসংখ্য গ্রুপ কলে নেতাদের কথপোকথনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জানা গেছে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো খুলনাতেও দলের নেতারা শোচনীয় অবস্থায় পড়েন। লক্ষনীয়,৭১” এ দেশ স্বাধীনের একদিন পরে খুলনা স্বাধীন হয়েছিল, অন্যদিকে ২০২৪ সালের ৫ ই আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার বিদায় নিলেও একদিন আগে অর্থাৎ চৌঠা আগস্ট খুলনাতে আওয়ামী লীগের পতন হয়।
এদিন দুপুরের পর থেকে ছাত্র- জনতার বিক্ষুব্ধ মিছিল থেকে শেখ বাড়ি, খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ অফিস, খুলনা মেয়রের বাসভবন, খুলনা- ৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুস সালাম মুর্শিদির অফিস ও বাসা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত অধিকারীর বাড়ি, নগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাচ্চু, জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জামালের বাড়ি ও অফিস, নগর যুবলীগ নেতা শেখ সুজনের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান, যুবলীগ নেতা শওকত, জেলা যুবলীগ নেতা জলিল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেজা, জেলা ও নগরের আরও বেশ কিছু নেতাদের অফিস- বাসভবন দফায় দফায় ভাংচুর হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয়। গণহারে লুটপাট করা হয়।
এর বাইরেও জেলা ও নগরের বিভিন্ন পর্যায়ের অনেক নেতার অফিস- বাসভবনে ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়। চার ও পাঁচ আগস্ট খুলনা ছিলো আতংকিত বিভিষীকাময় এক নগরী। শহরে কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিল না। আক্ষরিক অর্থেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, তাদের পরিবার, পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু বান্ধবরা পর্যন্ত ছিলো সবাই নিরাপত্তাহীন।
চৌঠা আগস্ট দুপুর বারোটা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা পিকচার প্যালেস মোড় ও আওয়ামী লীগ অফিস নিজেদের দখলে রাখতে পারলেও বারোটার পর থেকে ছাত্র- জনতার সংখ্যা স্রোতের মতো বাড়তে থাকলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা পিছু হটে।
বিকেলের আগেই শহরের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় বৈষম্য বিরোধী লাখো ছাত্র- জনতা- শিক্ষার্থীদের হাতে। এর পর থেকেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে আত্মগোপনে চলে যান।
এদিন দলীয় কার্যালয়ের উপরে ও নিচে, বিকেলে ও সন্ধ্যায় মারাত্মকভাবে প্রহৃত হন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বিএমএ সালাম, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী রায়হান ফরিদ, নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সুজন।
পরে নগরীতে আহসান আহমদ সড়কে বেধড়ক পিটুনির শিকার হন দলের নগর শাখার উপ-দপ্তর সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা হাফেজ শামিম। এদিন রাতে জেলার রুপসাতে বেদম প্রহারের শিকার হন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার, শ্রমিক লীগের নেতা আলম হাওলাদার প্রমুখ। পারভেজ ও আলম হাওলাদার সম্পর্কে পিতাপুত্র।
পাঁচ আগস্টে দুই সহকর্মীসহ নিজ বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ফলে জেলার কয়রা উপজেলার চেয়ারম্যান ও কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মহসিন রেজাকে পুড়িয়ে মারেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এই দুদিন নগরীর পাশাপাশি জেলার সর্বত্রই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা হামলার কবলে পড়েন। ডুমুরিয়াতে আওয়ামী লীগ অফিস, সাবেক ভুমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের বাসভবনে হামলা- ভাংচুর- ফ্রি স্টাইলে লুটপাট হয়।
সুত্র বলছে, চার আগস্ট দুপুরের পরপরই নগর ভবন থেকে গামছা মুড়ি দিয়ে গায়ের জামা কাপড় খুলে লেবার সেজে পালিয়ে যান সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। একইভাবে, আদালত চত্বর থেকে বোরখা পড়ে পালিয়ে যান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত অধিকারী।
নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেছেন চার আগস্ট পিকচার প্যালেসে নেতা-কর্মীরা যখন জীবন বাজি রেখে দলের অফিস রক্ষায় রাস্তায় লড়াইয়ে ব্যস্ত, তখন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত অধিকারী আদালতে, সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক নগর ভবনে, আর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুন তখন জেলা পরিষদের হেরেম খানায় একঝাক তরুণী নিয়ে খোশগল্পে মত্ত।
সূত্র বলছে, এদিন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বিএমএ সালাম, এমডিএ বাবুল রানা, জেড এ মাহমুদ ডন, এডভোকেট সাইফুল, কামরুজ্জামান জামাল, অসিত বরন বিশ্বাস, হাফেজ শামিম, নগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, গল্লামারির হাফিজ,নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সুজন, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক ছাত্রনেতা রেজা, জেলা যুবলীগের আব্দুল জলিল প্রমুখ নেতা-কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন।
নিজের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র প্রদর্শন করে খুলনাতে ব্যাপক সমালোচিত হলেও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সাইফুল নিজ দলের মধ্যে প্রশংসিত হয়েছেন। নিজের শক্তিমত্তা, সাহসীকতা দেখিয়ে সাইফুল নেতা-কর্মীদের কাছে হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা পেয়েছেন। আস্থা অর্জন করেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা পলাতক নেতাদের একাধিকবার ঢাকাতে একত্রিত করে বাহবা কুড়িয়েছেন। উচ্চ আদালতে নিজেভজামিন নিয়েছেন, অন্যদেরও সহযোগিতা করেছেন।
সুত্র বলছে, চার আগস্টে জীবন- মৃত্যুর মাঝে শহরে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কয়েক ঘন্টা আটকে ছিলেন এডভোকেট সাইফুল, কামরুজ্জামান জামাল, অসিত বরন বিশ্বাস, মহাম্মাদ হানিফ, আসাদুজ্জামান রাসেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রেজা প্রমুখ।
কয়েক ঘন্টা পরে সন্ধ্যার সময় কারফিউজ শুরু হলে সেনাবাহিনীর সহায়তায় এসব আটক নেতারা অ্যাম্বুলেন্সে করে ঘটনাস্থল থেকে একে একে সরে যান। এর পর থেকেই খুলনাতে আওয়ামী লীগ নেতা- কর্মীরা ঘরছাড়া, এলাকা ছাড়া, শহর ছাড়া, জেলা ছাড়া।
নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর থেকে বেদম পিটুনিতে আহত দলের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা ছাড়া অন্য তিন শীর্ষ নেতা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত অধিকারী রাতারাতি হাওয়া হয়ে যান।
এই তিন নেতা নিজেদেরকে দল ও বিপদগ্রস্ত কর্মীদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখেন। গত কয়েক মাস দলের কোন নেতা বা কর্মী এই তিন নেতাকে মুহুর্তের জন্যও খুঁজে পাননি। এই তিন নেতাও দলের নগর বা জেলার কোন নেতা-কর্মীদের খোজ খবর নেননি।
আত্মগোপনে চলে যাবার পর থেকেই এই তিন নেতার সেল ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, ভাইবার, ইন্সট্রোগ্রাম সবই বন্ধ ছিলো। এই তিন নেতা কোথায় আছেন, বা এতো দিন কোথায় ছিলেন, তা দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মীই জানেন না।
দল ক্ষমতাচ্যুত হবার পরে নেতাদের নিত্য নতুন দুর্নীতি, নারী প্রীতি, পরকীয়া, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাসহ নানা অপকর্মের খবর একের পর এক প্রকাশ পাওয়ায় নেতা-কর্মীরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ- বিরক্ত- বিব্রত- মর্মাহত। এসব সংবাদ নিয়মিত প্রকাশের ফলে তারা নিজেরাও এখন যথেষ্ট বিতর্কিত।
তাদের ব্যক্তিগত মানসম্মান, অতীতের রাজনৈতিক ক্যারিয়র নিজ নিজ অপকর্মের কারনে আজ ভুলুন্ঠিত। গ্রুপ কলে এই তিন নেতা সম্পর্কে তাদের নানা অপকর্মের খবর, নেতা-কর্মীদের সাথে অসহযোগিতার বিষয়সমুহ অভিযোগ আকারে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রের অনেক নেতাকেই বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন।
এই তিন নেতার ঘনিষ্ঠজনেরা অন লাইন নিউজl পোর্টাল প্রথম সময় নিউজ ডটকমকে জানিয়েছেন, আলোচিত ও বিতর্কিত এই তিন নেতাও জানেন, তারা রাজনীতিতে এখন অপাংক্তেয়। তাদের রাজত্ব শেষ। তাদের সমস্ত অপকর্ম দলের নেতা-কর্মীদের নখদর্পনে। বিশেষ করে সদ্য বিদায়ী সিটি মেয়র ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তালুকদার আব্দুল খালেক শুন্য থেকে আজ হাজার কোটি টাকার মালিক, শেখ হারুনও শত কোটি টাকার মালিক। দল ক্ষমতাসীন হবার পর থেকে এই দুই নেতা নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আসছেন। দলের নেতা-কর্মীরা তাদের হঠাৎ করে মুক্তিযোদ্ধা সাজার বিষয়টি মেনে নিতে পারেন নি।
তারা ক্ষমতাসীন থাকাকালে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা কেউই কোন সুযোগ সুবিধা পান নি এমন অভিযোগ কর্মীদের। এমনকি এই দুই নেতা বিশেষ করে সাবেক সিটি মেয়র ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ধারের কাছেও কেউ ভিড়তে পারেন নি। জানা গেছে, দলের বিভিন্ন গ্রুপকলে নেতাদের এসব অপকর্মের আলোচনা এখন ওপেন সিক্রেট।
সূত্র বলছে, বর্তমানে লাইম লাইটে আছেন এডভোকেট সাইফুল- কামরুজ্জামান জামাল- অসিত বরন বিশ্বাসের মতো অপেক্ষাকৃত তরুন নেতারা। দুদকে মামলা হওয়ায় আরেক তরুণ নেতা সাবেক এমপি আখতারুজ্জামান বাবু সম্ভাব্য নেতৃত্ব থেকে পিছিয়ে গেছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে বাবুর অবস্থান জানা নেই দলের কারোরই। বাবু দেশে না বিদেশে সেটা নিয়েও ধোয়াশা রয়েছে।
বাবু ও তার স্ত্রীর নামে দুদকে মামলা হয়েছে। তাদের স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করেছে আদালত। দেশের বাইরে যাবার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
দলের জেলা শাখায় আরো লাইম লাইটে আছেন জেলায় সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট এমএম মুজিবর, বিএমএ সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, তারা বিশ্বাস, শেখ মনিরুল হক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন, রিয়াজ কচি প্রমুখ। এসব নেতারা যে যার অবস্থান থেকে নিজ নিজ কর্মী বা অনুসারীদের তারা সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। অ্যাডভোকেট এম এম মুজিবর, এডভোকেট শাহ আলম দলে পলাতক নেতা ও কারাবরণকারী নেতাদের আইনগত সহায়তা দিয়ে আসছেন। কারাগারে আটক খুলনা- ৪ আসনের এমপি আব্দুস সালাম মুর্শিদির স্ত্রী মিসেস শারমিন সালাম তার নিজ নির্বাচনি এলাকার পলাতক ও ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মীদের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন।
এর আগে জেলা সভাপতি প্রার্থী ছিলেন সাবেক এমপি এডভোকেট সোহরাব আলি সানা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হয়ে আছেন।
দলের আর এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ নারীঘটিত মামলায় জেল খাটছেন, দুদক থেকেও অতি সম্প্রতি তার নামে মামলা হয়েছে। জনশ্রুতি আছে, তিনিও জেলা সভাপতি প্রার্থী।
অন্যদিকে, নগরীতে জামালউদ্দিন বাচ্চু, কারাগারে আটক দলের দফতর সম্পাদক মাহবুব আলম সোহাগ, জনপ্রিয় যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান পপলু, সাবেক ছাত্রনেতা হিটলু প্রমুখ লাইম লাইটে আছেন। দলের সিনিয়র সহসভাপতি কাজি আমিনুল হক আমিন আগামীতে মেয়র প্রার্থী বা দলের নেপথ্যে থেকে দলকে গুছিয়ে দেয়ার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন।
ধারণা করা হচ্ছে, জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের যে কোন এক জায়গায় এবার সাইফুল গুরুত্বপূর্ণ চেয়ার পাবেন। তার রাজনৈতিক অবস্থান এবার যথেষ্ট শক্তিশালী। দলের দুর্দিনে সাইফুল কর্মী বান্ধব- গ্রহণযোগ্য ও সাহসী নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। আগামী মাসেই বোঝা যাবে, সাইফুল জেলা না নগর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবেন।
জানা গেছে, আগামীতে যুবলীগ নেতা পলাশ, রায়হান ফরিদ, এবিএম কামরুজ্জামানরা আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে নগর যুবলীগের দায়িত্ব কর্মীবান্ধব জনপ্রিয় যুব নেতা বাপ্পি ও হাফিজুর রহমানকে দেয়া হতে পারে। জেলা যুবলীগের দায়িত্ব ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান সোহাগ- রেজা- জলিলকে দেয়া হতে পারে। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সহঅবস্থানের পরে।