
অনলাইন ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তুলা আমদানি বৃদ্ধি একটি উপযুক্ত পথ বলে মনে করন ব্যবসায়ীরা। এজন্য দেশটি থেকে তুলা আমদানি বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ প্রস্তাব দেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।
বর্তমানে শুল্ক সুবিধা থাকলেও বন্দরে বিশেষ ওয়্যারহাউজ সুবিধা নেই। তাই চট্টগ্রাম বন্দরে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের তুলার জন্য পৃথক ওয়্যারহাউজ প্রস্তুত করার প্রস্তাব দিয়েছেন বিটিএমএ’র সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল।
ভিডিও কনফারেন্সে বিষয়টির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ। এ সময় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা শুরু করেছে। তবে ট্রাম্প ট্যারিফ শুধু বাণিজ্য কেন্দ্রীক নয় বলে মনে করছে সরকার। এজন্য ভূরাজনৈতিক ইস্যুকে মাথায় রেখে সঠিক পথে এগুনোর চেষ্টা করছে সরকার।
অনুষ্ঠানে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসক হাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তুলার দাম একটি বড় বিষয়। সে হিসেবে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের পোশাকের বাজারের জন্য তাদের কাছ থেকে বড় আমদানির প্রস্তুতি নেয়া যেতে পারে। কিন্তু এটা বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির জন্য চিন্তা করলে, তা টেকসই হবে না।