
অনলাইন ডেস্কঃ
আমি ২০০৯ সালে একুশে টেলিভিশনের জনপ্রিয় টকশোর অনুষ্ঠান ‘একুশের রাতে’ মোজাম্মেল হক বাবুর উপস্থাপনায় সর্বপ্রথম অংশগ্রহণ করি। তারপর থেকে নিয়মিত অনিয়মিতভাবে বিভিন্ন চ্যানেলে টকশোতে অংশগ্রহণ করে আসছি।
একবার জিটিভিতে টকশো চলাকালে প্রয়াত যুবলীগ নেত্রী ফজিলতুন্নেসা বাপ্পির সাথে হালকা ঝগড়া হয়। টকশো শেষে সে আমাকে এজেন্সির হাতে তুলে দিবেই দেবে। কোন ছাড় দেবে না। টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ খুবই বিব্রত। বাপ্পির হুমকি ধামকির কাছে সবাই অসহায়। আমি এসব পরোয়া না করে বাসায় রওনা হই। পথে বেশ কয়েকবার টিভি প্রযোজক৷ ও উপস্থাপক ফোন করে রাতে যেন বাসায় না থাকি সে অনুরোধ করে। আমি কোন চিন্তা না করে বাসায় চলে আসি।পরে শুনেছি উপস্থাপক অঞ্জন রায় কিভাবে যেন বাপ্পিকে ম্যানেজ করেছে।
একবার বাংলাভিশনে করোনা সাহেদের সাথেও কথা কাটাকাটি হয়। অনুষ্ঠান শেষে সে আমাকে পুলিশ হাতে তুলে দেবেই দেবে।
আমি বেপরোয়া ভঙ্গি করে বাসায় চলে আসি।করোনা সাহেদ এর পরিণতি আপনারা এখন দেখতেই পাচ্ছেন।
বছর দুয়েক আগে এস এ টেলিভিশনে জাতীয় পার্টির নেতা এটিএম তাজের সাথে বেশ কথা কাটাকাটি হয়। সে লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে আমাকে মারতে আসে লাইভ অনুষ্ঠানে। আমি অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় তা মোকাবিলা করি। অনুষ্ঠান শেষেও সে আমার সাথে বেশ দুর্ব্যবহার করে। তখন সঞ্চালক আমাকে জানায় যে তাজ মদ খেয়ে এসেছে। এটা শোনার পর আমি আর কোন কথা না বাড়িয়ে চলে আসি। সেই অনুষ্ঠানটি এতই ভাইরাল হয়েছে যে প্রত্যেকেই তা দেখেছে।
৫ আগস্ট এর পরে আমার অনেক সুহৃদ এটিএম তাজের ঠিকানা জানতে চায় এবং আমি কেন এখনো তার প্রতিশোধ নেয়নি সেজন্য আমাকে তিরস্কার করে।আমি তাদেরকে বলি আমি প্রতিশোধ প্রতিহিংসায় বিশ্বাসী নই। আমি চাইলেই তাজের সেদিনের বেয়াদবির সাজা করাড় গন্ডায় আদায় করতে পারি। কিন্তু তা কি কোন মহৎ কাজ হবে?প্রতিশোধের বদলে ভালোবাসা,অভদ্রতার পরিবর্তে ভদ্রতা,উগ্রতার বদলে নমনীয়তা,রাগের বিপরীতে অনুরাগ এবং কঠোরতার পরিবর্তে কোমলতা,দুর্ব্যবহারের পরিবর্তে সদ্ব্যবহার এ মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে আমি দলে এবং বিএনপি জোটে কাজ করি। আমি বিশ্বাস করি নিজ দলে বা বিএনপি জোটে চিরশত্রু বলে কোন কথা নেই।দূরের মানুষকে আদর, যত্ন, যুক্তি ও ভালোবাসা দিয়ে কাছে টেনে নেওয়াই উত্তম। এভাবেই আমি সর্বত্র বিশেষ করে নিজস্ব নির্বাচনী এলাকায় কাজ করে যেতে চাই।
এলডিপি নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিমের ফেজবুক ওয়াল থেকে নেওয়া