
স্পোর্টস ডেস্কঃ
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলার পর থেকে উপমহাদেশের রাজনীতিতে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে ক্রিকেট মাঠেও। চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও একবার তলানিতে ঠেকেছে। এরইমধ্যে ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না তারা। রাজনৈতিক কারণে ২০১২ সাল থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে কেবল এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক ইভেন্টেই মুখোমুখি হয় এই দুই দল। তবে চলমান উত্তেজনার মুখে আগামীতে এই টুর্নামেন্টগুলোতে তাদের অংশগ্রহণ কেমন হবে, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
এরইমধ্যে নতুন করে গুঞ্জন উঠেছে যে, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ আয়োজনই স্থগিত হয়ে যেতে পারে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির একাধিক গণমাধ্যম এমন খবর প্রচার করেছে। ২০২৫ সালের এশিয়া কাপের আয়োজক ভারত। যদিও পাকিস্তানের আপত্তির মুখে হাইব্রিড মডেল অর্থাৎ শ্রীলঙ্কাকেও সহ-আয়োজক করার সম্ভাবনা ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত তাদের সব ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলেছিল। ২০২৫ এশিয়া কাপেও একই সম্ভাবনাই ছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ আয়োজনের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
‘স্পোর্টস তাক’ ভারতীয় বোর্ডের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে,‘এই মুহূর্তে এশিয়া কাপ সম্পর্কে মন্তব্য করার মতো কিছু নেই, তবে সমস্ত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত। তবে এশিয়া কাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। উপযুক্ত সময়ে আমরা আমাদের অবস্থান জানাবো।’ ভারত কি এশিয়া কাপে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে কি না—এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,‘আমি নিশ্চিত নই। আমাদের এ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।’
এদিকে, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার পাশাপাশি বিগত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কেও কিছুটা শীতলভাব বিরাজ করছে। এর মাঝেই টাইমস অফ ইন্ডিয়ার দাবি, চলমান এই শীতল সম্পর্কের জেরে আগামী আগস্টে ভারতের বাংলাদেশ সফরও স্থগিত হতে পারে। সূচি অনুযায়ী ওই সময় ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল ভারতের।