
অনলাইন ডেস্কঃ
রাজপথে উত্তাল বিক্ষোভ, শাসনযন্ত্রে অস্থিরতা, এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের ইঙ্গিত—বাংলাদেশ আজ এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার অভাব, সেনাবাহিনীর চাপ, এবং প্রশাসনিক দুর্বলতা মিলে দেশে এক গভীর সংকটের সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে সবার মনেই প্রশ্ন জাগছে, কোন পথে বাংলাদেশ?
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি তার পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার অভাব এবং প্রশাসনিক বাধার কারণে তিনি কার্যকরভাবে কাজ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে তিনি তার পদে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করছেন।
অন্যদিকে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত সরকারই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে, এবং সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি এবং বিক্ষোভের কারণে রাজপথে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিএনপি, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য একটি সমঝোতামূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তারা বলছেন, সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই হতে পারে এই সংকটের সমাধান। এছাড়া, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতি বজায় রাখা জরুরি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন ) জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ এক সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা, প্রশাসনিক দক্ষতা, এবং জনগণের আস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। এখন সময় এসেছে, সব পক্ষের একসঙ্গে কাজ করার, যাতে দেশ একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যেতে পারে।