
বিশেষ প্রতিনিধি:
অন লাইন নিউজ পোর্টাল প্রথম সময় ডটকমে অনুসন্ধানী নিউজ হবার পরে খুলনা সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা পদে দায়িত্ব ফিরে পেলেন ওহিদুজ্জামান। জানা গেছে, ৫ আগস্ট থেকে তিনি এই পদ হারিয়েছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, এসকে তাসাদুজ্জানান ৫ আগস্ট এই পদে জোর পূর্বক বসে ছিলেন।
সূত্র বলছে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এই ব্যাপারে চিঠি জারি করলেও খুলনা সিটি করপোরেশন তিন মাসেও তা আমলেই নেয় নি। গতকাল ২৭ মে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চিঠিসহ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রথম সময় প্রকাশ করলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে।
যদিও প্রতিবেদন প্রকাশের সময়ে বর্তমান প্রশাসক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের সাথে কেউই কথা বলেননি বা বলতে চান নি। ১১ তম গ্রেডের একজন বিতর্কিত কর্মকর্তা কিভাবে নবম গ্রেডের চেয়ারে গত ৯ মাস অফিস করলেন সেটাও প্রশ্নবোধক। এই ব্যাপারে খুলনা সিটি করপোরেশন কোন ব্যাখ্যা দেয় নি। সূত্র বলছে, তাসাদুজ্জামান রাজনৈতিকভাবে একজন আওয়ামী লীগ নেতা। অথচ সিটি করপোরেশনে তিনি বিএনপির পরিচয়ে চলে।
এদিকে আজ খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওহিদুজ্জামান খাঁনকে মূল পদে পুনর্বহাল করেছে।। এছাড়া বর্তমানে রাজস্ব কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী এস কে এম তাছাদুজ্জামানকে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা হিসেবে মূলপদে পদায়ন করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমান এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেন। দুপুরে মো. ওহিদুজ্জামান রাজস্ব কর্মকর্তা পদে যোগ দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে গত বছর ৫ আগস্টে রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওহিদুজ্জামান খাঁনকে কেসিসির কঞ্জারভেন্সী অফিসার পদে বদলী করা হয়। ওই পদে অতিরিক্ত দায়িত্বগ্রহণ করেন এস কে তাছাদুজ্জামান। এমন দাবি কেসিসির, অন্যদিকে, অভিযুক্ত ওহিদুজ্জামান বলেছেন, তাসাদ কেসিসির লোকজন নিয়ে তার চেয়ার দখল করে নেয়।
চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ওহিদুজ্জামান খাঁনকে রাজস্ব কর্মকর্তা পদে পুনর্বহালের নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত ২০ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকেও একই নির্দেশ দেয়। এমন দুই দুটি নির্দেশের পরেও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নীরবতা সবাই অবাক করে দিয়েছে প্রথম সময় এই নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করলে অবশেষে কেসিসির ঘুম ভাঙ্গে।