
অনলাইন ডেস্কঃ
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেছেন, সিরিয়ার সরকারি কর্মচারীদের সহায়তা দিতে যৌথভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে সৌদি আরব ও কাতার। স্থানীয় সময় শনিবার (৩০ মে) দামাস্কাসে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানির সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
গত ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধের পর দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিরিয়ায় নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, যাদের অন্যতম প্রধান আঞ্চলিক সমর্থক ছিল এই দুই উপসাগরীয় দেশ।
শনিবারের (৩০ মে) এই ঘোষণায় সিরিয়ার সরকারি খাতের জন্য ঠিক কত পরিমাণ অর্থ দেয়া হবে, তার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি। তবে এর আগে, মে মাসের শুরুতে সিরিয়ার অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ ইউসর বারনিয়েহ বলেছিলেন যে, কাতার প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য মাসপ্রতি ২৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে, যা দিয়ে সিরিয়ার বেসামরিক সরকারি কর্মচারীদের বেতন দেয়া হবে।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, কাতারের এই উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছিল। এর কয়েক দিন পরেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, আসাদ সরকারের সময়ে সিরিয়ার ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হচ্ছে।
এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়নও সিরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। সৌদি আরব ও কাতারের সমর্থনের আরও প্রমাণ মেলে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে, বিশেষকরে, গত মাসে সৌদি আরব ও কাতার, যারা নতুন কর্তৃপক্ষের (সিরিয়ার) অন্যতম প্রধান সহায়তাকারী, তারা প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলারের সিরিয়ার বিশ্বব্যাংকের ঋণ পরিশোধের ঘোষণা দিয়েছে।