
অনলাইন ডেস্কঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে ‘গাঁজাখোর’ বলে মন্তব্য করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতাও গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) উপজেলার বর্ডার এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শানু (৪১) নামের একজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
নিহত ফাহিম বয়াতী (১৯) নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজের এইসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার পিতা আহত মো. জাকির বয়াতী (৪৫) স্থানীয় বাজারে মাছের ব্যবসা করতেন। ভুক্তভোগীরা নওমালা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ভাংড়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে অভিযুক্তদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে দুপুরের দিকে বাড়িতে ফেরে ফাহিম। বিকেলে ধলু ফকিরের বাজারে বাবার কাছে যাচ্ছিলেন তিনি। তখন স্থানীয় বখাটে শাকিল তাকে আক্রমণ করে। পরে তাদের অভিভাবকরা ঘটনা স্থলে আসেন। ফের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাকিল ও তার পরিবারের সদস্যরা ফাহিম ও তার বাবাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন।
পুলিশ জানায়, পায়ের মূল রগ কেটে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন শিক্ষার্থী ফাহিম। ফাহিমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং জাকির বয়াতীকে পটুয়াখালী মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ ছিলো, তবে জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলা নেই। ঘটনার সূত্রপাত গলাচিপায়, তবে হত্যাকাণ্ড ঘটে দশমিনায়। তারা উভয়ই প্রতিবেশী ও বাউফল উপজেলার বাসিন্দা।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার যমুনা টেলিভিশনকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে অভিযুক্তকে ‘গাঁজাখোর’ বলে মন্তব্য করেন ভুক্তভোগী ফাহিম। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উভয়ের পরিবারের সদস্য ঘটনাস্থলে আসে। একপর্যায়ে ফের কথা কাটাকাটি বাধলে শাকিল ছুরি দিয়ে ভুক্তভোগী পিতা-পুত্রকে একাধিক আঘাত করেন। এতে ফাহিম নিহত হন। তার বাবার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় দশমিনা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে একজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছেন। এ সময়, জড়িত মূল আসামিসহ বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।