
অনলাইন ডেস্কঃ
খেলার মাঠ কাপিয়ে রাজনীতির মাঠে নেমে কিংবদন্তি হয়ে আছেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। তিনি দেশকে ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপহার দিয়ে খেলা থেকে অবসরে; রাজনীতিতে জড়িয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
ইমরান খানের পথ অনুসরণ করে এশিয়ার অনেক ক্রীড়াবিদ রাজনীতির মাঠে নেমে রাতারাতি হয়ে গেছেন সংসদ সদস্য। সেই তালিকায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশর ক্রীড়াবিদরাও।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে খুলনা-৪ আসন থেকে নির্বাচন করে সংসদ্য হয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদী। দেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় মানিকঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন।
নড়াইল-২ এবং মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন দেশের সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও এক সময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের ভূঁয়সী প্রশংসা করে অনেকে যেমন সোনার হরিণ পেয়েছেন ঠিক তেমনি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে আমিনুল হকের মতো দেশের সফল ফুটবল তারকাকে একাধিকবার কারাবরণ করতে হয়েছে।
খেলার মাঠ থেকে রাজনীতির মাঠে নেমে বারবার নির্যাতিত হওয়া বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক সম্প্রতি একটি দৈনিককে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘স্বৈরাচারের দোসর এবং অবৈধ সংসদের একজন এমপি সাকিবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র নেবে। খেলোয়াড় থাকাকালীন অবৈধ সরকারের প্রলোভনে পড়ে তার এমপি হওয়ার বিষয়টি যদি ভুলে যান, তাহলে ওই যে রক্ত ঝরেছে এবং যাদের জীবন গেছে, তাদের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে। ’
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়ে এমনটি বলেন আমিনুল হক। তিনি বলেন, ‘ফুটবলের ফিটনেসটাই রাজনীতিতে কাজে দিচ্ছে। সারা দিন কথা বললেও ক্লান্ত হই না।’
এক প্রশ্নের জবাবে আমিনুল বলেন, ‘প্রবাসীদের এনে আমরা সাময়িকভাবে উপকৃত হতে পারি। কিন্তু তৃণমূলে না গেলে সত্যিকারের উন্নতি হবে না। আগের মতো সোহরাওয়ার্দী কাপ বা মা-মণি গোল্ডকাপের মতো টুর্নামেন্ট চালু করতে হবে।’