
অনলাইন ডেস্কঃ
টানা আন্দোলনে ৫ আগস্ট কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জণের পর; পুলিশ আর আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর পরে তীব্র ঘৃণা-ক্ষোভের রেশ। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বেশকিছু থানা; প্রাণ যায় পুলিশ সদস্যদের। দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে করা হয় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকায় জেল ভেঙ্গে বেরিয়ে যায় বহু কয়েদি।
৫ তারিখ অনেকেরই বিশ্বাস করতে বা অনুভব করতে কষ্ট হচ্ছিল, কী হলো কীভাবে হলো। ৬ তারিখ সম্বিত ফেরে। এ আরেক বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার পালানোর পর, খবর আসতে থাকে আওয়ামী লীগের অনান্য নেতাদেরও।
এদিন কারফিউ তুলে সব খুলে দেয়া হয়। পরের সরকার কিভাবে হবে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা গুঞ্জন শুরু হয়। আগেরদিন আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের আগুনে জ্বলে যাত্রাবাড়ি থানা। বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
ওই রাতে বাড্ডা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। পুড়িয়ে দেয়া থানাগুলোয়, জ্বলে ছাই হয় বহু নথিপত্র। ডিবি কার্যালয় থেকে শুরু করে পুলিশ সদর দফতর—কিছুই বাদ যায়নি।
বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন দেয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। হামলা ভাংচুর করা হয় সুধা সদনে। ধানমণ্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায়ও হয় হামলা। শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় ভাঙচুরের কারণে ৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকে বিমানবন্দরের কার্যক্রম।
বিভিন্ন জেলায় চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি আর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর আর হয় লুটপাট। একদিকে পুলিশের অনুপস্থিতি অন্যদিকে দীর্ঘ বঞ্চনা আর অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে অনেকে।
শেরপুর ও যশোরের কারাগারে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০ বন্দিকে মুক্ত করে ফেলা হয় এদিন।