
অনলাইন ডেস্কঃ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. রুবেল আনছারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন আরেকজন ছাত্রী। গত ১৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সভাপতির কাছে অভিযোগটি জমা দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সভাপতি মোছা. তাসলিমা খাতুন জানান, নতুন অভিযোগটি পেয়েছি। আগেরটি তদন্ত কার্যক্রম চলছে। এটিও নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত করা হবে।
এর আগে গত ৭ আগস্ট অধ্যাপক রুবেল আনছারের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ, যৌন হয়রানী ও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ করেন এক ছাত্রী। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে তদন্ত চলাকালে অধ্যাপক রুবেল আনছারের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। সেই তদন্ত কার্যক্রম এখনও চলছে। এর মধ্যেই নতুন অভিযোগ উঠলো।
নতুন অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে রুবেল আনছারের বিরুদ্ধে একজন আপুর যৌন হয়রানির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পারি। নিউজগুলো দেখার পর থেকেই স্যার আমার সঙ্গে ও আমার ব্যাচমেটদের সঙ্গে যে আচরণগুলো করেছেন সেগুলো চোখে ভাসতে থাকে এবং আমাকে এই সময়ে এসে কথা বলার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। স্যারের আমাকে পাঠানো মেসেজের ধরন এবং আপুর অভিযোগে উল্লেখ করা বিষয়গুলোর ধরন অনেক ক্ষেত্রে একইরকম।’
দুই পাতার অভিযোগে হয়রানীর কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করেন তিনি। এর মধ্যে গভীর রাতে ছবিতে লাভ রিয়েক্ট, একা দেখা করার জন্য চাপ প্রয়োগ, ঘুরতে নিয়ে নেওয়ার জন্য জোরাজুড়ি, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীর মতো অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা পাঠানো, শাড়ি পড়ে আসলে ফুলমার্কসহ বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন। বেশকিছু স্ক্রিণশটও জমা দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক রুবেল আনছার বলেন, ‘এই ছাত্রীকে আমি চিনি না। কি ধরনের কথা তার সঙ্গে হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কিনা আমার মনে নেই। অভিযোগ তদন্ত করুক। তখন সত্য-মিথ্যা জানা যাবে।’