
অনলাইন ডেস্কঃ
নির্বাচনের পথে জাতীয় রাজনীতির ট্রেন। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে হতে যাচ্ছে বহুকাঙ্ক্ষিত নির্বাচন। এ অবস্থায় সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলনের কথা বললেও নির্বাচনী প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই জামায়াত ইসলামী।
রাজনীতির নয়া প্রেক্ষাপটে নয়া জোট নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ছক চূড়ান্ত করেছে জামায়াতে ইসলামী। সমমনা ইসলামী দলগুলো নিয়ে জোট গঠনের প্রাথমিক কাজ এরইমধ্যে অনেকটা এগিয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাথেও জামায়াতের কৌশলগত নির্বাচনী জোট হতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। এরইমধ্যে অর্ধেক কাজ এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
দলটির দুই নায়েবে আমির বলছেন, ৩০০ আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও জোট করেই নির্বাচনে যাবে জামায়াত।
জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বললেন, আমরাই প্রথমে সংসদীয় আসনগুলোতে প্রার্থী ঘোষণা করেছি। ৩০০ আসনেই করেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা যাদেরকে মনোনীত করেছি তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরেক নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, আমরা মনে করি, এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের ভেতরে আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং সেরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা। যদি সে রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করে, আমি মনে করি কোনও দলেরই নির্বাচনে যেতে আপত্তি থাকবে না। আর জামায়াত ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে ভোটের রাজনীতির সমীকরণে প্রথমবারের মতো ইসলামী দলগুলো নিয়ে জোট করতে চায় জামায়াত। এক্ষেত্রে ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি ইসলামী দলের সাথে জোটের প্রক্রিয়া অনেকটা এগিয়ে রেখেছে দলটি।
এ নিয়ে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, একদিকে ইসলামী দলগুলো, আরেকদিকে সুবিচার কায়েমের জন্য আন্দোলন করা ডানপন্থীদের সাথে সমঝোতা যদি হয়, ঐক্য যদি হয়, ইসলামের বাক্স যাতে একটা হয়, এই লক্ষ্যে আমরা সকলে কাজ করছি।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, মানুষ দেখতে চায় যে এবার একটি ভিন্নধর্মী নির্বাচন হবে। যেখানে সকলে ভোট দিতে পারবে। লেভেল প্লেইং ফ্লিড থাকবে।
বিএনপির সাথে চারদলীয় জোট করে ২০০১ সালে ক্ষমতার অংশ হয়েছিল জামায়াত। ২০০৮ সালের নির্বাচনী জোটেও ছিল বিএনপির শরীক। তবে নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জামায়াত এবার নির্বাচনে নিজেদের রাজনৈতিক সক্ষমতার প্রমাণ দিতে চায়।