
অনলাইন ডেস্কঃ
খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, বিগত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে লুটেরা আওয়ামী লীগ সরকার দেশ শাসন করছে। তারা উন্নয়নের নামে খুলনাকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এক সময়কার শিল্পনগরী খুলনা আজ মৃত নগরীতে পরিণত হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ, বেকারত্ব বৃদ্ধি, শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থান সংকট, দুর্নীতি, দালালি আর লুটপাটের কারণে খুলনা শহরের অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। হাজার হাজার শ্রমিক পরিবার অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। পাটকলসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকাল ৪টায় সোনাডাঙ্গা থানার ১৯নং ওয়ার্ডের মা-বোনদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র খুলনা এখন আর কর্মচাঞ্চল্যে ভরা শহর নয়; বরং জনশূন্যতা, অবহেলা ও অচলাবস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। জনগণের কষ্টের প্রতি সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে দমন-পীড়ন, মামলা-হামলা আর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর দমননীতি চালিয়েছে পতিত সরকার। আওয়ামী লীগের লুটপাট আর স্বেচ্ছাচারিতার কারণে খুলনাবাসী আজ করুণ অবস্থায় পতিত হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে খুলনা নগরী আবার প্রাণ ফিরে পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তুহিন বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকলসহ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালু করা হবে। শ্রমজীবী মানুষদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তরুণদের চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে। খুলনাকে আধুনিক বন্দরনগরী ও শিল্পকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হবে। নগরীর অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে, যাতে খুলনা সত্যিকার অর্থেই সমৃদ্ধ শহরে রূপান্তরিত হয়। ধর্ম মানুষের আত্মার আলো, হৃদয়ের শান্তি। কিন্তু সেই ধর্মকেই কিছু লোক নিজেদের স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার বানিয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা জান্নাতের টিকিট বিক্রির নামে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করছে। মসজিদ-মাদ্রাসা, ওয়াজ-মাহফিল কিংবা ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করে তারা মানুষকে ভ্রান্তপথে চালিত করছে। আসলেই জান্নাতের টিকিট কোনো মানুষ বিক্রি করতে পারে না-এটি আল্লাহর রহমত ও নেক আমলের ফসল। যারা দুনিয়ার ক্ষমতা, অর্থ কিংবা প্রতারণার মাধ্যমে স্বর্গ বিক্রির ব্যবসা চালাচ্ছে, তাদের থেকে সকলকে সাবধান থাকতে হবে। ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কাজী মিজানুর রহমান মিজান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি’র সভাপতি হাফিজুর রহমান মনি, সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান আসাদ। বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, মুজিবর রহমান , জাকির ইকবাল বাপ্পি , জামাল হোসেন তালুকদার, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ শাহ জালাল, বাবু অসিম কুমার, মোঃ সাঈদ, মোঃ বাশি, দেলোয়ার হোসেন খান, এইচ এম রুম্মাত পিয়াস, পরন বাবু, মোঃ আম্মার মোড়ল, সোহেল, হুমায়ুন, আঃ ওয়াদুদ চান্নু, বিমান, রওশন আরা মিনি, মোঃ ইমরান হোসেন, ইয়াসমিন বেগম, চম্পা বেগম, কুলসুম বেগম, সালেহা বেগম, আলিয়া আঞ্জুমান, ইমরান হোসেন মিঠু, সোনালী লক্ষ্মী চম্পা, বিশ্বনাথ ঘোষ বিষু, মোঃ সাদ্দাম হোসেন, সৈয়দ নাদিম আশফাক, কাজী শাহিন, জেনিয়া ইকবাল রিনি প্রমূখ।
ধানের শীষের প্রচার মিছিল: মা-বোনদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে থেকে জননেতা শফিকুল আলম তুহিনের সমর্থনে এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে একটি ধানের শীষের প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে তেঁতুলতলা মোড়ে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি’র সভাপতি হাফিজুর রহমান মনি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, মুজিবুর রহমান, জাকির ইকবাল বাপ্পি, একরামুল কবির মিল্টন, আহসান মৃধা খোকন, জামাল হোসেন তালুকদার, হাবিবুর রহমান, শেখ আজিজুর রহমান, কাজী মিজানুর রহমান, আহসান হাবিব বাবু, মোঃ মিজানুর রশিদ মিজান, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ শাহ জালাল, বক্কার মীর, এস এম মামুনুর রশিদ, হেলাল ফারাজি, দেলোয়ার হোসেন খান, রুম্মাত পিয়াস, সাঈদ , বাশি, সোহেল, যুবদলের আমিন হোসেন মিঠু, মনিরুজ্জামান মনি, আতিউর রহমান, মহিলা দলের মুন্নি জামান, নাসরিন হক শ্রাবণী, হাসনা হেনা, কামরুন্নাহার হেনা, ছাত্রদলের খান সাইফুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুনুর রশিদ, রাকিবুল হাসান প্রমুখ।