
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জোর দিয়ে বলেছেন, দুই দেশের জন্য বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার পথ বেছে নেওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় তিনি ভারত ও চীনকে “প্রাচ্যের প্রাচীন সভ্যতা” হিসেবে আখ্যা দেন।
বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানিয়ে শি জিনপিং বলেন, ‘আপনার সঙ্গে আবার দেখা হয়ে খুব ভালো লাগছে। আমরা বিশ্বের দুটি সর্বাধিক জনবহুল দেশ এবং গ্লোবাল সাউথের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আমাদের দুই দেশের জনগণের কল্যাণ বৃদ্ধি এবং মানব সমাজের অগ্রগতি প্রচারের ঐতিহাসিক দায়িত্ব আমাদের কাঁধে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুটি দেশের জন্য ভালো প্রতিবেশী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কযুক্ত বন্ধু হওয়া, একে অপরের সাফল্য নিশ্চিতকারী অংশীদার হওয়া এবং ড্রাগন ও হাতির একসাথে আসাটাই সঠিক পছন্দ।’
শি জিনপিং ভারত-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকীর কথাও উল্লেখ করে বলেন, উভয় দেশের উচিত কৌশলগত ও দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য একসাথে কাজ করা।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, তিনি ‘পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান এবং সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে’ ভারত-চীন সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত বছর কাজানে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘সেই আলোচনা আমাদের সম্পর্ককে একটি ইতিবাচক দিকনির্দেশনা দিয়েছিল। সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের পর শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী কৈলাস মানসরোবর যাত্রা এবং সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘উভয় দেশের ২৮০ কোটি মানুষের স্বার্থ আমাদের সহযোগিতার সাথে যুক্ত, যা সমগ্র মানবতার কল্যাণের পথ প্রশস্ত করবে।’
গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পর সাত বছরের মধ্যে এটিই প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রথম চীন সফর। দুই নেতার মধ্যে এই বৈঠকটি ৫০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চলে। তিয়ানজিনে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে ভারত ও চীন ছাড়াও রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরানসহ অন্যান্য সদস্য দেশের নেতারা অংশগ্রহণ করছেন।