
অনলাইন ডেস্কঃ
আফগানিস্তানে ছয় মাত্রা ভূমিকম্পে চারটি প্রদেশে অন্তত আটশ’ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংস্থা।
প্রাথমিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংস্থা আরও জানিয়েছে, কমপক্ষে দুই হাজার মানুষ আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের অনেকেই দুর্গম এবং পাহাড়ি এলাকায় রয়েছেন এবং উদ্ধার কর্মীদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন।
এই সংস্থাটি বলছে, কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ ভূমিকম্পে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবন বা অবকাঠামোও এর অন্তর্গত।
এদিকে, আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশে ৬১০ জন এবং নাঙ্গারহারে আরো বারোজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তালেবান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তালেবান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে, যেটি কোথায় কত জন মানুষ নিহত হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
কুনার ও নানগারহারে মোট নিহতের সংখ্যা ৬২২ জনে দাঁড়িয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পনেরোশ’ জনেরও বেশি আহত হয়েছে ভূমিকম্পে।
তবে, বিস্তারিত তথ্য এখনও আসছে এবং মৃতের এই সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে।
দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ ভূমিকম্প হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র এখনো পুরোপুরি পাওয়া যায়নি, ফলে হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে বলে কর্মকর্তারা আশংকা করছেন।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূগর্ভের আট কিলোমিটার গভীরে।
এদিকে, আফগানিস্তানের ভেতরে যে অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছে, যেখানে শতশত বাড়িঘর ধসে গিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বলে তালিবান সরকারের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে।
আফগানিস্তানে ত্রাণ সহায়তা দিতে টিম প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করতে ইউনিসেফের স্থানীয় টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক মানবিক সংস্থা (ইউনিসেফ)।
ইউনিসেফের কাবুল অফিসের কর্মকর্তা সালাম আল জানাবি জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে সড়কপথে যাতায়াত এখনও বন্ধ রয়েছে। সম্ভবত শত শত বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।
“পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় ভবনগুলো প্রায় একে অপরের গা ঘেঁষে নির্মিত হওয়ায় সব কিছু একে অপরের উপর ভেঙে পড়ছে” বলেন তিনি।
ইউনিসেফের প্রধান অগ্রাধিকার স্বাস্থ্য, শিশু সুরক্ষা, পানি এবং স্যানিটেশনের সুযোগ করে দেওয়া বলে জানিয়েছেন আল জানাবি।