
অনলাইন ডেস্কঃ
শুরু হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ভোট প্রদান শুরুর কথা থাকলেও কিছুটা বিলম্বে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। এ কার্যক্রম বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
এর আগে কেন্দ্রগুলোয় পৌঁছানো হয় ব্যালেট বাক্স, পেপারসহ ভোটের অন্যান্য সরঞ্জাম। দায়িত্ব বুঝে নেন প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা। এবারের নির্বাচনে সার্বিক নিরাপত্তায়ও রয়েছে কড়াকড়ি।
এবার জাকসুতে মোট ভোটার সংখ্যা ১১,৮৪৩ জন। নির্বাচনে ভিপি পদে ১০ জন থাকলেও প্রার্থিতা নিয়ে জটিলতায় অমর্ত্য রায়।
এবার জিএস পদে লড়ছেন ৯ জন। তবে প্রচারণার শেষ দিনে নাম প্রত্যাহার করে নেন সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া।
এজিএস পুরুষ পদে ১০, আর নারী পদে লড়ছেন ৬ জন। এছাড়া বাকি ২১টি পদে রয়েছেন একাধিক প্রার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ আবাসিক হলের প্রতিটিতেই রয়েছে ভোট কেন্দ্র। এরমধ্যে ১১ কেন্দ্রে ছাত্র ও ১০টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ছাত্রীরা।
জানা গেছে, ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।
ছাত্রীদের হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।
এবারের জাকসুতে মোট বুথ ২২৪টি। পোলিং অফিসার ও সহকারী মিলিয়ে রয়েছেন কর্মকর্তা ১৩৪ জন।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫ পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৭৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনে বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে সর্বমোট আটটি প্যানেল অংশগ্রহণ করছে।
বিকাল পাঁচটায় ভোটগ্রহণ শেষ হলে শুরু হবে গণনা। পুরাতন রেজিস্টার ভবনের সিনেট হলে ভোট গণনা হবে বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।