
অনলাইন ডেস্কঃ
নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য কমিশনে কোনও আলোচনা হয়নি। এমনকি সংবিধান সংস্কার কিংবা নির্বাচন সংস্কার কমিশনও নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে কোনও প্রস্তাব করেনি। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেয়া দু’টি দল এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে তারা বলছেন, বিএনপি নোট অব ডিসেন্ট দিলেও উচ্চকক্ষে পিআরের পক্ষে কমিশন। তাই জামায়াতে ইসলামীসহ ৭ দলের নিম্নকক্ষে পিআরের দাবি এবং আন্দোলনকে নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে উচ্চকক্ষে পিআর নিয়ে কেউ কেউ আলোচনা করেছেন, আমরা এই আলোচনার মধ্যে নেই, কারণ আমরা দ্বি-কক্ষেরই বিরুদ্ধে। নিম্নকক্ষে পিআরের বিষয়টি আলোচনায় আনেনি সংস্কার কমিশন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, নিম্নকক্ষে পিআরের জন্য আমাদের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুত না। মনস্তাত্ত্বিকভাবেও আমাদের কোনও প্রস্তুতি নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আসিফ শাহান বললেন, এখানে (নিম্নকক্ষে) সরকারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হওয়ার এমন সম্ভাবনা থাকে যে সরকার ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে যাবে। আপনার এলাকার এমপি কে তা আপনি নির্বাচিত করছেন না, এসব বিষয়কে বিবেচনা করে নিম্নকক্ষে পিআর প্রস্তাব করেনি কমিশন। এসব বিষয় মাথায় রাখছে না জামায়াত। একইসাথে সংসদীয় আসনের বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা হবে, জামায়াত সেটির উত্তর দিচ্ছে না।
মাঠে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর কর্মসূচির প্রশ্নে সাইফুল হক বলেন, হয়তো নির্বাচনী সমীকরণ, পক্ষে-বিপক্ষে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরের দেন-দরবার যদি থাকে; এগুলোকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখার সুযোগ আছে।
আসিফ শাহান বলেছেন, নির্বাচন কোন সময়ে হবে, গণতান্ত্রিক পরিবেশে আমরা ফিরে আসতে পারবো কি না, পুরো বিষয়টি জিও পলিটিকসের মধ্যে চলে যেতে পারে। জামায়াত আন্দোলন করছে ভালো কথা, কিন্তু তারা কি পরিস্কার কোথায় এসে থামবে?
পিআর নিয়ে দলগুলো মুখোমুখি অবস্থান থেকে না সরলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।