
অনলাইন ডেস্কঃ
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে আবারও পরমাণবিক বোমা তৈরির কার্যক্রম শুরুর আহ্বান জানিয়েছে ইরানের আইনপ্রণেতারা। অপরদিকে, চলমান উত্তেজনার মাঝেই রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে আরও ৮টি পর পরমাণবিক জ্বালানী স্থাপনা তৈরির পরিকল্পনা করছে ইরান।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইরানের ওপর স্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নতুন প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। ২০১৫ সালের পারমানবিক চুক্তির শর্ত না মানলে চলতি মাসের শেষে কার্যকর হবে ইরানের ওপর জাতিসংঘের আরোপিত পুরনো সব নিষেধাজ্ঞা।
পরদিনই এ সিদ্ধান্তের কঠোর প্রতিক্রিয়া জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে পারবে না বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে আবারও পারমানবিক বোমা তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির ৭০ জন এমপি। এ বিষয়ে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলে চিঠি দিয়েছেন তারা।
এদিকে, রাশিয়ার সাথে পারমানবিক জ্বালানি স্থাপনা তৈরির পরিকল্পনা করছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, দ্রুতই মস্কোর সাথে মিলে আটটি পারমানবিক জ্বালানি স্থাপনা তৈরির বিষয়ে সমঝোতায় আসবে মস্কো-তেহরান। এ বিষয়ে আলোচনা করতে রাশিয়া গিয়েছেন ইরানের নিউক্লিয়ার চিফ মোহাম্মদ এসলামি।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কেনো দমছে না ইরান? বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক সংস্থার নজরদারির অভাবে পরমাণু কর্মসূচিতে কিছুটা অগ্রগতি করতে চাইছে তেহরান। এতে আলোচনার টেবিলে চাপ সৃষ্টি করবে পারবে দেশটি।
মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. সানাম ভাকিল বলেন, যুদ্ধের পর ইরান তেহরান থেকে আইএইএ পরিদর্শকদের বহিষ্কার করে। ফলে আপাতত আন্তর্জাতিক সংস্থাটির সরাসরি নজরদারিতে নেই ইরানের পরমাণু কার্যক্রম। এই সুযোগে কিছুটা অগ্রগতি করতে পারে দেশটি। যাতে এটিকে আলোচনার টেবিলে চাপ সৃষ্টির উপায় হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
গেল মাসে চুক্তির ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া চালু করে ই-৩ দেশগুলো। এতে ইরানের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের প্রমাণ পেলে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ ইরানের উপর বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে জাতিসংঘ।
সূত্র: ইরান ইন্টারন্যাশনাল।