
অনলাইন ডেস্কঃ
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকারের এখনকার শীর্ষ নেতারা এক সময় হেঁটেছেন এক পথে। তরুণদের দল দুইটি রয়েছে একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায়। কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় দল দুইটি একীভূত হতে পারে, তা নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা হচ্ছে নেতাদের মধ্যে।
তারা বলছেন, মধ্যপন্থার রাজনীতি ও তারুণ্য বিবেচনায় দল দুইটি এক হতে পারে। দলের নাম ও পদ-পদবীর বিষয়গুলো চূড়ান্ত হলেই আসতে পারে একীভূত হওয়ার ঘোষণা।
প্রশ্ন, সংসদ নির্বাচন ঘিরে কতটা এগিয়েছে আলোচনা? গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ও এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম কণ্ঠে শোনা গেলো ঐক্যের আভাস।
রাশেদ খান বললেন, মূলত একসাথে চলার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে এবং এটাকে কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে আমাদের উভয় দলের মধ্যে আন্তরিকতা আছে। কিন্তু আমরা এখনই যে বিলীন হয়ে নতুন দল গঠন করছি, এ ধরনের কোনও আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।
সারজিস আলম জানালে, এখন পর্যন্ত আলোচনা পজিটিভ দিকে এগোচ্ছে।
তারুণ্য নির্ভর দল হলেও ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভালো ফল করেনি এনসিপি বা গণঅধিকারের অনুসারীরা। যেটিকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি মনে করছেন অনেকে। তাই সামনে আসছে ঐক্য বা একীভূতের প্রসঙ্গ।
সারজিস আলম বলেন, আগামীর বাংলাদেশের রাজনীতিতে যারা অতি উৎসাহী এবং পুরাতন কালচারগুলোকে আষ্টে-পৃষ্টে জড়িয়ে ধরে রাজনীতি করতে চায়, তাদের জন্য এটা একটা বার্তা। অবশ্যই এটার প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে আছে। যারা অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে, তো অবশ্যই নাম জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থাকবে। আমরা মনে করি, অন্যান্য আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এখানে একীভূত হয়, তাদেরকে সম্মান প্রদর্শনের বিষয়ে সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকবো আমরা।
রাশেদ খান বলেছেন, ঐক্যের প্রক্রিয়াটা চমৎকারভাবে যদি এনসিপি করতে পারে, সেক্ষেত্রেই শুধুমাত্র একটা বড় পার্টি গঠন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দুইটি দল একীভূত হলে পুনঃবণ্টণ হবে পদ-পদবী। সেক্ষেত্রে দু’পক্ষই ছাড় দেয়ার মানসিকতা দেখাবে বলে আশাবাদী রাশেদ খান ও সারজিস আলম।
সারজিস আলম বলেছেন, একীভূত হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই তাদেরকে সম্মান আমাদের দেখাতে হবে। পদ তো সীমাবদ্ধ থাকে। তাই এখানে একটা ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে এবং আমরা মনে করি আমাদের সেটি আছে।
রাশেদ খানের মতে, দুইটি দলকে একটা দলে রূপান্তরিত হতে হলে উভয় দলের মধ্যে ছাড় দেয়ার মানসিকতা দরকার। নেতৃত্বের জায়গায় এক ধরনের সমন্বয় দরকার, কাকে কোথায় রাখা হবে। এখন যদি একদমই ছাড় দেয়া না হয়, তাহলে তো একটি দলই হওয়া যায় না।
রাজনীতির মাঠে তারুণ্যের শক্তি এক হলে তৈরি হবে শক্তিশালী প্লাটফর্ম, এমন ভাবনা থেকেই এগিয়ে যাচ্ছে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ।