
অনলাইন ডেস্কঃ
শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় দিনের মতো কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের একাংশ। এতে সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রমও।
আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের পাশে লিচু তলায় অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময়, শিক্ষক লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিল ও ফৌজদারি আইনে বিচারের দাবি জানান তারা। একই সাথে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবি তুলে ধরেন তারা। তবে চলমান শাটডাউন কর্মসূচি থেকে গতকাল সরে আসার ঘোষণা দেন জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা।
অপরদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একাংশের দাবির মুখে গতকাল রাকসু নির্বাচন পিছিয়ে উদ্ভূত সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
কারণ হিসেবে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়নি। সেজন্য উপর্যুক্ত বিবেচনায়, নির্বাচন উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার স্বার্থে কমিশন ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে আগামী ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার নির্বাচন আয়োজনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।