
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ভারতে বসে বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়েছিল: জামায়াত আমীর
১৯৭২ সালে রচিত বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানের ‘জন্ম’ ভারতে হয়েছে, ভারতে বসে সাংবিধান রচিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর শফিকুর রহমান।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাবনা তুলে ধরেন জামায়াতে আমীর ডা. শফিকুর রহমান। রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনা তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবিধান সংস্কার হবে, না পুনর্লিখন এমন প্রশ্নের উত্তরে জামায়াতের আমীর বলেন, ৭২ এর যে সংবিধানটি রচিত হয়েছিল, সেটা ভারতে বসেই হয়েছিল। এবং ভারত যখন স্বাধীনতা যুদ্ধে একটা গুরুত্বপূর্ণ রোল রেখেছে। সংবিধানটা বাংলাদেশে বসে রচিত করা যেত। শুধু ভারত নয়, দুনিয়ার এক্সপার্টদের আমরা ইনভাইট করে আনতে পারতাম। তাহলে আমাদের সংবিধানের জন্মভূমি হত বাংলাদেশ।ভারতে বসে রচিত বাহাত্তরের সংবিধান পার্লামেন্টে এনে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
আগে নির্বাচন, না আগে সংস্কার এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দুটি রোডম্যাপ হবে। একটা সংস্কারের, আর একটা নির্বাচনের। তবে সময় যেন অতি দীর্ঘ না হয়, আবার অতি সংক্ষিপ্ত না হয়। গত সরকারের শেষ দিনে আন্দোলন দমন করতে গিয়ে গণহত্যায় জড়িত যারা সরকার পতনের পর পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগে জামায়াত চায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমীর বলেন, তারা ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় এসেছেন। ওটা যেভাবেই আসুক, তারা এসেছেন। এরপর ১৪, ১৮, ২৪ তিনটা নির্বাচন হয়েছে, আদৌ কি এটা নির্বাচন হয়েছে? তারা নির্বাচন চাননি, তারা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছেন। এই ক্ষমতায় থাকার জন্য যা কিছু করা দরকার, তারা সেটাই করেছেন। তারা নিজেরাই যদি নির্বাচন চেয়ে না থাকেন, তো আওয়ামী লীগের ওপর আমরা নির্বাচন চাপায়ে দিলে এটা তাদের ওপর জুলুম হবে। নির্বাচনে বাধ্য করার জুলুম হবে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে আসা বা না আসার ‘হিসেবের ভার বাংলাদেশের জনগণের ওপর’ দেয়ার কথা বলেন জামায়াত নেতা। তিনি বলেন, আমরা কোনো মত দিতে চাই না। এটাও একটা বৈষম্য হয় কিনা চিন্তা করেন, তারা চাচ্ছে না, আমরা জোর করে বললাম এটা দিতেই হবে।
অনুষ্ঠানে জামায়াতের তরফে ৪১টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে সংক্ষেপে ১০টি তুলে ধরা হয়। জামায়াত আমীরের পক্ষে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
অন্যদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, আ না ম শামসুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম মাছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাইফুল আলম খান মিলন, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, নূরুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ।