
বিশেষ প্রতিনিধি:
উচ্চ আদালত খুলতেছে চলতি মাসের ২০ অক্টোবরে, সারা দেশের ঢাকাসহ আটটি সিটি কর্পোরেশন, জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের পলাতক মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেম্বর ও অন্যান্য নেতারা আগাম জামিনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদের অধিকাংশই হত্যা মামলায় অভিযুক্ত। এর পাশাপাশি চাঁদাবাজি, প্রভাব বিস্তার, ভাংচুর, লুটপাট, দুর্নীতির মামলা আছে। সরগরম এখন উচ্চ আদালত, আইনজীবী থেকে শুরু করে মুহরি এমনকি তাদের পিওন প্রত্যাশিরা পর্যন্ত ব্যস্ত, মনে হচ্ছে, তাদের ঈদের মৌসুম চলছে। কিন্তু এর মধ্যেও নানামুখী টেনশনে রয়েছেন জামিন প্রত্যাশিরা। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য, উচ্চ আদালতে নতুন নতুন বেঞ্চ বসেছে, যোগ দিয়েছেন অনেক নতুন বিচারক। আর এই কারনেই তাদের টেনশন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনজীবী জানান, নতুন বিচারকরা যারা যোগ দিয়েছেন, তারা সবাই আওয়ামীলীগ বিরোধী কিংবা আওয়ামী লীগ আমলে পদবঞ্ছিত। সে কারণেই তাদের মক্কেলরা কিছুটা টেনশন যদি জামিন না মেলে? অন্য এক নেতা জানান, জামিন প্রত্যাশি আমরা আরও দুই এক দিন আদালতের কার্যক্রম দেখবো, অপেক্ষা করব, বিজ্ঞ বিচারকদের পালস বুঝব, তাদের বিচারিক কার্যক্রম দেখব দ্যান আদালতে মুভ এবং তখনই সিদ্ধান্ত নেবো, আমরা জামিনের জন্য দাঁড়াবো কিনা?দাড়ালাম অথচ জামিন পেলাম না, আমাদের জেলে ঢুকিয়ে দিল, তখন এই কুল ওই মুল সবই কুলই চলে যাবে! ওর চেয়ে, পালিয়ে আছি, সেই ভালো’।
এর বাইরে যারা জেলে আছেন তারাও জামিনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে, প্রসংগ উল্লেখ্য, গন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীসহ দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়া বেশ কয়েকজন সাবেক এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বিভিন্ন পথে পালিয়ে যান অন্য দিকে দরবেশ বাবা খ্যাত সালমান এফ রহমান, সাবেক আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী দিপু মনি, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সাধন চন্দ্র দে, সাবের হোসেন চৌধুরী, এমএ মান্নান গ্রেফতার হয়ে জেলে আছেন, এদের মধ্যে সাবের হোসেন চৌধুরী ও এমএ মান্নান একদিন বাদেই মুক্তি পান। এর বাইরেও বেশ কয়েকজন সাবেক এমপি, সাংবাদিক বর্তমানে জেলে আছেন।