
৯১ থেকে ৯৬: বিএনপি ক্ষমতায়, ৯০ এ গনঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত এরশাদ তখন কারাগারে, তাকে তোয়ালে পরিয়ে তার রুমে রাখা হতো, রুমের মধ্যে সিসি ক্যামেরা পর্যন্ত ছিলো, জেল কোডে নিয়ম থাকা সত্বেও অন্তত পাচ বছর কেউই তার সাথে কারাগারে দেখা করতে পারেনি।
জেলের বাইরে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে একটিবারের জন্য চিকিৎসা নিতে পারেন নি, এরশাদ অনশন পর্যন্ত করেছিলেন কিন্তু শাসকদের মন গলে নি, জেল থেকেই এরশাদ পাচ পাচটি আসনে এমপি হয়েছিলেন, তার দল ৩৫ টি আসনে জিতেছিলো য ছিলো সত্যিকার অর্থেই বিস্ময়কর ব্যাপার।
এরশাদের দল ঢাকাসহ দেশের যে প্রান্তে মিছিল সমাবেশ করেছে সেখানের পুলিশ বা ততকালীন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের কাছে পিটুনি খেয়েছে, এটা ছিলো রুটিন ওয়ার্ক, সেই সময়ের জাপা মহাসচিব খালেদুর রহমান টিটোকে একবার পুলিশ মগবাজার থেকে মিছিল করার সময়ে কলার চেপে পিটাতে পিটাতে যেভাবে পিক আপ ভ্যানে তুলেছিলেন তা সভ্য সমাজে ছিলো বিরল, একজন রাজনীতিককে পেটানোর কারনে শাস্তির বদলে পরে সেই পুলিশ কর্মকর্তার প্রমোশন হয়েছিল, সেদিন যদি এই ঘটনা না ঘটতো, কিংবা সেই ঘটনার বিচার হতো, তাহলে পরবর্তীতে হারুন- বিপ্লবদের মতো পুলিশ কর্মকর্তাদের সৃষ্টি হতো না।
ইতিহাস থেকে আসলে কেউ শিক্ষা নেয়না, এটাই বাস্তবতা: দমন নিপিড়ন করে কেউই সফল হয় নি, বরং দমন নিপিড়নকারিরা পরবর্তীতে স্বৈরাচার হয়ে যায়, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, অন্যদিকে যারা দমন নিপীড়নের শিকার হয়, তারা ক্রমেই উজ্জ্বল হয়, প্রতিষ্ঠিত হয়, মানুষের ভালোবাসা পায়, এটা যত দ্রুত বুঝবেন তবেই মঙ্গল, বুঝলে ভালো, না বুঝলে আরো ভালো।
লেখকঃ শাহীন রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক