
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জোড়াতালি দিয়ে চলছে বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। রোববার, সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ‘জোড়াতালি দিয়ে চলছে বিসিবি’ এমন মন্তব্য দৃষ্টিতে আনলে ক্রীড়া উপদেষ্টা বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অনেক পরিচালক না থাকায় এটা বাস্তব যে বিসিবি জোড়াতালি নিয়ে চলছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন পরিচালকদের আমাদের নিতে হবে।
তিনি বলেন, নতুন পরিচালক নেয়ার নেয়ার ক্ষেত্রেও কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। ক্রীড়া সংস্থাগুলোর পুনর্গঠনের কার্যক্রম চলমান আছে, সেগুলো পুনর্গঠন হলে নিয়মতান্ত্রিক উপায়েই আরও নতুন পরিচালক যোগ হবে। বিসিবির বিভাগগুলো ভাগ করে দেয়ার ব্যাপার আছে। সেগুলো ভাগ করে দিলে বিসিবির কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আসবে বলে আমি মনে করছি- যোগ করেন আসিফ মাহমুদ।
বিসিবিতে সৃষ্ট সংকটের পেছনে ‘রাজনীতি’ দায়ী উল্লেখ ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, বিসিবিতে তো ধারাবাহিকতা ভাঙার কোনো কথা ছিলো না। যদি বিসিবিতে রাজনীতিকরণ না করা হতো, তাহলে দেশে পরিবর্তন আসলেও বিসিবি তার মতোই থাকতে পারতো, ধারাবাহিকভাবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারতো।
আসিফ মাহমুদ বলেন, যখন আমি দায়িত্ব নেই, তখন বিসিবির লোকজনকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। নতুন পরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে স্থবিরতা কাটানোর চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, কারও সঙ্গে যে পরামর্শ করব, এমন একটা লোক পর্যন্ত ছিল না। গঠনতান্ত্রিক অনেক জটিলতা ছিলো। আইসিসির যে ফ্রেমওয়ার্ক আছে তার মধ্যে থেকে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিসিবিতে পরিবর্তন এনেছি। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিপিএল উপলক্ষ্যে সরকারি খরচে তিন স্টেডিয়ামের সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্টেডিয়ামগুলো সরকারে অধীনে। তাই এর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করি। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দেনা পাওনার (গেট মানি-প্রচার স্বত্ব) বিষয় থাকলে সেটি আমরা আলাদাভাবে দেখব।
তিনি আরও বলেন, সব ফেডারেশনের জবাবদিহি নিশ্চিতে প্রতি বছর কার্যক্রমের রিপোর্ট ও অডিট রিপোর্ট দেয়া হবে। কেউ যদি দুর্নীতি করে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। তবে ফুটবলসহ বেশ কিছু ফেডারেশন স্বায়ত্তশাসিত। তাই সেখানে সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
ফেডারেশনের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলমান আছে বলেও জানান আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, বিভিন্ন কমিটি নিয়ে যে অভিযোগ আছে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যেখানে স্থবিরতা আছে, সেখানে নতুন কমিটি করে সংকট সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রসঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, পুরস্কারের নীতিমালা নিয়ে কাজ হচ্ছে। আওয়ামী লীগের আমলে দলীয় প্রভাবে অনেক পুরস্কার পেয়েছে। আমরা এই সংক্রান্ত একটি নীতিমালা করব এবং একটি থাকবে সেটা অনুসরণ করে পুরস্কার প্রদান করবে।