
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেছেন যে, মুক্ত খালেদা জিয়া এবং সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতের দিকে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা নাহিদ তার ফেসবুক প্রোফাইলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিগুলোর বর্ণনায় তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আন্তরিকভাবে কুশল বিনিময় করেছি।’
পোস্টটি শেয়ার করে তিনি মন্তব্য করেন, ‘মুক্ত খালেদা জিয়া এবং সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য।’
জানা যায়, দীর্ঘ পাঁচ বছরের বিরতির পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী সশরীরে একটিতে অংশগ্রহণ করেছেন। তার সর্বশেষ সিলেট সফর ছিল ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি।
দীর্ঘ ১০ বছর পর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে সেখানে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগতম জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়িয়ে শারীরিক খোঁজখবর নেন। এসময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য একসাথে কাজ করতে পরামর্শ দেন। সেই সাথে, এই তিন উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে তার পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেগম জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তার স্বাস্থ্যগত অবস্থার খবর নেন।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেছেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পত্নী খালেদা জিয়া এখানে উপস্থিত হয়েছেন। দীর্ঘ এক দশক পর তিনি এই অনুষ্ঠানে আসার সুযোগ পেলেন। আমরা গর্বিত যে তাকে এই সুযোগ দিতে পেরেছি। দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পরেও বিশেষ এই দিনে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য তাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তার শারীরিক সুস্থতা কামনা করছি।