
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘শহিদ জিয়ার ১৯ দফা বাস্তবায়ন পরিষদের’ উদ্যোগে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কারে : ১৯ দফার আলোকে ৩১ দফা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী সব রাজনৈতিক দল বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে রয়েছে‘ উল্লেখ করে ফারুক বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে যেসব দল আন্দোলন করেছে, তারা সবাই আপনার (ড. ইউনূস) সঙ্গে আছে, শুধু আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করবেন কি করবেন না, সেটা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। যারা জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে, তারা এই সিদ্ধান্ত নেবে।’
শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘এই সরকার আপনার আমার সরকার। জনগণের সরকার। সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে ইসকন দিয়ে এগুলো শুরু করেছে (শেখ হাসিনা)। যদি তিনি গণতন্ত্রের সপক্ষের লোক হতেন, যদি দুর্নীতি, ব্যাংক লুট ও লুটপাট না করতেন, তাহলে জনগণ আপনাকে (শেখ হাসিনা) গ্রহণ করতো।’
শেখ হাসিনা জেনারেল আজিজ, বেনজিরদের কারণে ক্ষমতায় থাকতে পেরেছে উল্লেখ করে ফারুক বলেন, ‘আজ হারুন, আজিজ, মেহেদী, বিপ্লবরা কোথায়। এখন আমরা আছি, কিন্তু তোমরা নেই। হিন্দুস্তানের গোলামি করার জন্য ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ড. ইউনূস কখনো বাংলার মানুষের সঙ্গে বেইমানি করতে পারেন না। তবে, যারা বেইমানি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, ড. ইউনূস আপনি অনতিবিলম্বে তাদেরকে বের করে দিন।’
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস ভেগে যাওয়ার লোক নয়। সংস্কারও হবে, নির্বাচনও হবে। কিন্তু টালবাহানা জনগণ সহ্য করবে না। নির্বাচন আপনাকে দিতেই হবে। রোডম্যাপ ঘোষণা করতেই হবে।’
শহিদ জিয়ার ১৯ দফা বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কেএম খালেদুজ্জামান জুয়েলের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস খান, গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।