
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমাদের ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৬২৬ জনকে বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। যাদের পাচার করে দেওয়া হয়েছে তারা ভারতে বসে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। যে দায়িত্বপ্রাপ্তরা এই ৬২৬ জনকে বিদেশ যেতে সহযোগিতা করেছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। বিচারের আওতায় আনতে হবে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেলসহ সংগঠনটির নেতাদের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, দেশের মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল মামলা বাণিজ্যে মেতে রয়েছে। তারা মামলা দেয় এবং টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে নাম ফেলে দেয়। এই কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা বাংলাদেশের শত্রু। আমরা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানাব আপনারা আপনাদের দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের কঠোর বার্তা দেবেন। তারা যেন কোনোভাবেই মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত না হয়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অবশ্যই বাংলাদেশে ফিরবে। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশে ফিরবে। তারা (ভারত) যদি হাসিনাকে ফেরত না দেয়, তাহলে আমরা ধরে নেব তারা জঙ্গি সংগঠনকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু ভারত জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। তারা জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে। আমরা ভারতকে বলব আপনারা আওয়ামী লীগের চোখে নয়, জনগণের দৃষ্টিতে বাংলাদেশকে দেখুন।
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক নেই দাবি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক) বলেছিল ক্ষমতার পরিবর্তন হলে দেশে এক রাতে ৫ লাখ মানুষ মারা যাবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হবে। আমরা বলতে চাই গণ-অভ্যুত্থানের পর একজন আওয়ামী লীগ নেতাও হত্যার শিকার হয়নি। যারা আওয়ামী লীগ করেছে তারা এখনো বাংলাদেশে আছে এবং অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।