
হেলিকপ্টার ভ্রমণ নিয়ে সমালোচনার জবাব দিলেন উপদেষ্টা আসিফ, পোস্টে বলা হয়, ‘প্রথমে গাড়ি ব্যবহার করে সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে এভাবে ছয় দিনে মাত্র ১০টি উপজেলা সফর করা সম্ভব হতো। সফরের মূল লক্ষ্য ছিল উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন, স্থানীয় জনগণের মতামত শোনা এবং শীতবস্ত্র বিতরণ।’
প্রথমত: উনারা ক্ষমতায আসছেন মাত্র ৫ মাস। এর মধ্যে কবে উন্নয়নে পরিকল্পনা করলেন? আর তা বাস্তবায়ন করলেন ? তাই দেখতে জনগণের পয়সা খরচ করে হেলিকপ্টার ভাড়া করে যেতে হবে?
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘উপদেষ্টা মহোদয় কম সময়ে সর্বাধিক উপজেলায় জনগণের কথা শুনতে চেয়েছেন। তাই ছয় দিনে ২২টি উপজেলা ভ্রমণের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রণালয় থেকে সর্বনিম্ন খরচে হেলিকপ্টার ভাড়া করা হয়।’
দ্বিতীয়ত: যদি তাই হয় তাহলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আরো বেশী মানুষের সাথে কথা বলা যেতো।
আর শীত বস্ত্র বিতরণ তো ডিসিদের কাছে পাঠালে তারাই করতে পারেন এর জন্য সরকারের টাকা খরচ করতে হবে কেন ?
বিশেষ দ্রষ্টব্য: সচিবালয়ের আগুন নিয়ে উনি বলছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নাকি ম্যানুয়ালি কাজ করে এটা একেবারেই হাস্যকর।
আমি চারদলীয় ঐক্যজোটের সরকারের আমল থেকে সচিবালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করি তাই আমরা সংশ্লিষ্টরা জানি তারা কিভাবে কাজ করে। সব কটি মন্ত্রণালয ডিজিটালাইজড। এমনকি আমরা সবাই জানি ঘরে বসেই ভূমি মন্ত্রণালয়ের সব কিছু কাগজ তোলা যায়।
তাই সব ফাইল পুড়ে গেছে এটা বলে জনগণকে বোকা বানানো যাবে না।
সবশেষে একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও সমন্বয়ক হাসিবের একটি কল রেকর্ড গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। সেখানে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের বিষেশ জায়গায় আগুন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করি এ ফোন রেকর্ড জনগণের সামনে প্রকাশ করা হবে।
ডিবিসি টেলিভিশনের টকশো তে বসে সমন্বয়ক হাসিব বলেছিলেন, যদি নেট্রো রেলসহ অন্যান্য স্থাপনায় আগুন না দেয়া হতো তাহলে তো বিপ্লব হতো না। তার সে কথা নিশ্চই আমরা ভুলে যাইনি।
ঘটনার সময় হাসিব সচিবালয়ের মধ্যেই ছিলেন। যমুনা ও এখন টিভির সাক্ষাৎকার দিয়েছেন হাসিব সেখানে উনি বলেছেন সম্ভবত রাত দুইটার দিকে তার এক ভাই ফোন করে সচিবালয়ে আগুন লাগার কথা বলেন। সেটা শুনেই তিনি ঘটনাস্থলে এসেছেন। আর একজন সম্ভবত উনি ছাত্র আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট সেই বব্যাক্তি বলছেন উনাকে উনার এক ভাই ফোন করে বলছেন, রাত দুইটার দিকে সচিবালয়ে আগুন লেগেছে তাই শুনে উনিও ঘটনাস্থলে এসেছেন। কথা হলো এই কমন ভাই টা কে ?
সাজেদা পারভীন
সংবাদকর্মী