
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}
বিশেষ প্রতিনিধি:
সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। খুলনা মহানগরীর আওতাধীন সব ওয়ার্ড ও সব কয়টি থানার সম্মেলন শেষ। প্রতিবন্ধকতা ছিলো প্রচুর। হাজারও ষড়যন্ত্র হয়েছে বর্তমান কমিটিকে ঘিরে। আহবায়ক ও সদস্য সচিবকে ঘিরে।
কমিটি ভেংগে দেয়ার জন্য বিএনপির এমন কোন কেন্দ্রীয় নেতা নেই, যাদের কাছে নালিশ করেনি প্রতিপক্ষ। দলের চেয়ারম্যান বেগম জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পর্যন্ত মৌখিক- লিখিত অভিযোগ গেছে দফায় দফায়। তারপরেও আহবায়ক মনা- সদস্য সচিব তুহিন জুটি সব ষড়যন্ত্র মোকাবলা করে একটা উৎসব মুখর সম্মেলন উপহার দিতে যাচ্ছেন।
জানা গেছে বর্ণাঢ্য পরিসরে সম্মেলন করতে যাচ্ছে এবার খুলনা মহানগর বিএনপি। জানুয়ারিতেই সম্মেলন করার টার্গেট এই আহবায়ক কমিটির। কিছুটা দেরিতে হলেও আহবায়ক কমিটিতে থাকা কাছাকাছি সহযোদ্ধাদের নিয়ে সফল করেছে তাদের মিশন। ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলনে আহবায়ক কমিটির নেতারা কেউ এসেছেন, কেউ আসেন নি। তারপরে থেমে থেমে থাকেন নি মনা- তুহিন। ওয়ান বাই ওয়ান সম্মেলন করে গেছেন। আর সে কারনেই ফুরফুরে মেজাজে আছেন মনা- তুহিন।
তিন বছর আগে নগর বিএনপি গড়ার দায়িত্ব পেয়েছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির দুই প্রজন্মের এই দুই নেতা। প্রথমে তিনজনের আহবায়ক কমিটি। তিনজনার আহবায়ক কমিটিতে সাবেক ছাত্রনেতা, সুন্দরবন কলেজের সাবেক ভিপি তরিকুল ইসলাম জহিরও ছিলেন। অদৃশ্য কারণে জহির পিছিয়ে গেছেন। আরও পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এই কমিটির ক্যাপ্টেন মনা- তুহিনের হাত ধরেই গত তিন বছরে এগিয়েছে বিএনপি। একটা ভিত দাড় করিয়েছেন।
সাবেক নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু যেমন খুলনার রাজনীতিতে আন প্যারালাল ছিলেন, তেমন বিদ্যমান বিএনপির রাজনীতিতে এই জুটিও এখন আনপ্যারালাল। মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে প্রান দিয়েছেন।
দলের নীতি নির্ধারনী মহলেও এই দুই নেতা যথেষ্ট আস্থাভাজন। আহবায়ক এডভোকেট শফিকুল আলম মনা। পেশায় আইনজীবী হলেও এখন ফুল টাইম রাজনীতিবিদ। স্বাধীনতা পরবর্তী বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। বিএল কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সম্পাদক মন্ডলিতে বিজয়ীও হয়েছিলেন।
৭৫ এর পরে জেনারেল জিয়া রাজনীতিতে এলে জিয়ার হাত ধরে যুবদলে যোগ দেন। এর পরে আর পেছনে তাকাতে হয় নি। গত পাচ দশকে যুবদল- বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন মনা। জেলার রাজনীতি করে গেছেন সব সময়েই।
খুলনা বিএনপির প্রয়াত নেতা সৈয়দ ইসা, সাবেক স্পিকার শেখ রাজ্জাক আলি, সাবেক মেয়র তৈয়বুর রহমান, নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, সরোয়ার জমাদ্দার, সরদার মইন, অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম, নুরুজ্জামান খোকন, সাহরুজ্জামান মোর্তুজা, মনিরুজ্জামান মামুন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, জাফর উল্লাহ খান সাচ্চুদের সাথে যেমন তাল মিলিয়ে রাজনীতি করেছেন, তেমনি নানান সময়ে তাদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিলেন।
নিজ ওয়ার্ডে একাধিকবার কাউন্সিলর হয়েছেন। রাজনীতির জোয়ার ভাটা দেখেছেন। নিজেকে আজও টিকিয়ে রেখেছেন চির তরুন, সব সময়েই হাসিখুশি, কর্মীবান্ধব মনা। পাচ দশকের অতীত অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ মনা এবারই প্রথম খুলনা মহানগর বিএনপির দায়িত্ব পেয়েছেন।
মনা- তুহিন যখন দায়িত্ব নেন, তখন বিদায়ী বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। নগর বিএনপিতে মঞ্জু তখন আন প্যারালাল নেতা। অন্যদিকে, তুহিন ছাত্রদল- যুবদল ছেড়ে বিএনপিতে নবীন।
৮০র দশক থেকে তুহিন বিএনপি পরিবারের সদস্য। ছাত্র রাজনীতির শুরুতে আজম খান কমার্স কলেজের ছাত্রদল নেতা ছিলেন। এর পরে মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি। মহানগর যুবদলের সভাপতি।
এরশাদ জামানায় ফ্রন্ট লাইনের ফাইটার তুহিন গত সতেরো বছর শেখ হাসিনার সরকার পতনের মুহুর্ত পর্যন্ত রাজপথে সব সময়েই সক্রিয়। মামলায় জেল খেটেছেন একাধিকবার। এবার দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব। অনেক বড় দায়িত্ব।
দলের জন্য তুহিন সবসময়ই প্রচন্ড ডেডিকেটেড। আপাদমস্তক একজন রাজনৈতিক কর্মী। দিন রাত সব সময়েই সক্রিয়। এই কথা তুহিনের শত্রুরাও স্বীকার করেন। ভালো বক্তা হিসাবেও সমাদৃত। গ্রুপ পলিটিক্স ভালো বুঝে।
জানা গেছে, সংগঠনের সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে তুহিন গত দুদিন আগে ঢাকা ঘুরে গেছেন। ঢাকা ঘুরে খুলনা ফিরে তুহিনকে খুবই উৎফুল্ল দেখা গেছে। ঢাকা অবস্থানকালে কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে খুলনা বিএনপির আসন্ন সম্মেলন সম্পর্কে ধারনা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থাভাজন দুই কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারি হেলান ও রকিবুল ইসলাম বকুল খুলনা বিএনপি দেখভাল করে আসছেন।
৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ফ্রন্ট লাইনের আরেক ফাইটার, ডাকসুর সাবেক নেতা জিয়াউর রহমান পাপুলও খুলনা বিএনপির রাজনীতিতে বিহাইন্ড দ্য স্ক্রিনে সক্রিয়। সাথে এবার খুলনা বিএনপির অভিভাবক হিসাবে তারেক রহমানের আগ্রহে যুক্ত হয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সফল নায়ক, সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান।