
অনলাইন ডেস্কঃ
সারজিনা আফরিন আমিরা আছেন কক্সবাজারে বাবা-মায়ের হেফাজতে। উন্নত জীবনের আশায় ঢাকায় থেকে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে চান। কিন্তু তাতে বাধ সেধেছে পরিবার। সে বাধা কাটাতে আমিরাকে সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক হারুন আসাদ মির্জা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে বাংলাদেশে এসে আমিরাকে উদ্ধারে হাইকোর্টে করেছেন হেবিয়াস কর্পাস রিট। ওই রিটের প্রেক্ষিতে আমিরাকে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ২৬ জানুয়ারি বেলা ১১টার মধ্যে তাকে হাইকোর্টে উপস্থিত করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আমিরার বাবাকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। আদালত বলেছে, মেয়েটার বক্তব্য আমরা শুনবো।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তাসমিয়া নুহিয়া আহমেদ। আদেশের পর তিনি বলেন, আমিরার বয়স ১৮ বছর। মেয়েটি এখন তার বাবা-মায়ের জিম্মায় আছেন। ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়া তার স্বপ্ন। কিন্তু পরিবারের আপত্তির কারণে সে ঢাকায় লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে না। এক্ষেত্রে পারিবারিক কুসংস্কারও কাজ করেছে। কক্সবাজারে তাকে আটকে রাখা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট তাসমিয়া বলেন, মেয়েটা বাসায় বন্দি থাকায় সে স্বাধীন মত তার ইচ্ছাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারছে না। স্বাধীনমত জীবন-যাপন করতে পারছে না। এজন্য এ রিট করা।
সারজিনা আফরিন আমিরার পৈত্রিক বাড়ি কক্সবাজারের পাহাড়তলিতে। তার বাবার নাম আমির উদ্দিন। আমিরাতে তার বাবা তার উচ্ছার বিরুদ্ধে বাড়িতে আটকে রেখেছে- এমন অভিযোগ করে হাইকোর্টে রিট করেন তার বন্ধু হারুন আসাদ মির্জা, যিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক। আমিরা যেন এই অবৈধ আটকাদেশ থেকে মুক্ত হয় সেজন্যই তিনি এই রিট করেছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, আমিরাকে তার বাবা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে দিচ্ছেন না। তাকে মোবাইল ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। যার কারনে সে বাহিরের কারো সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষঅ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।