
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সরকার পতনের পর প্রথম দফায় গঠিত ৬ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক ৬টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সেগুলো হলো- নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ জন্য মোট ১১টি কমিশন গঠন করা হয়েছে।
এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ শেষ হয় গত ১৫ জানুয়ারি। মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনে সরকারের হাতে প্রতিবেদন তুলে দেন কমিশনের সদস্যরা।
চার কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ১৫ জানুয়ারি বিকালে সংবাদ সম্মেলনে আসেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সেখানে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারে আসা সুপারিশগুলো নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে কমিশনগুলোকে আরও এক মাস সময় দেওয়া হবে। এক মাসের মধ্যে আমরা একটা রোডম্যাপ তৈরি করতে সক্ষম হব বলে মনে করি।’
নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন হয় ৩ অক্টোবর। এই পাঁচ কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। সে হিসেবে ২ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমার কথা ছিল।
আর সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়ে ৬ অক্টোবর। এই কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল ৫ জানুয়ারির মধ্যে।
এরপর গত ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গঠন করা হয় গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী বিষয়ক ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। প্রতিবেদন দিতে সেগুলো ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় পাচ্ছে।
প্রথম দফায় ছয় কমিশন গঠনের পর গত ৪ নভেম্বর সেগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে কমিশনগুলোর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
এই ছয় কমিশন ওয়েবসাইট খুলে মতামত সংগ্রহ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, মতবিনিময়, জরিপ ও লিখিতভাবে মতামত সংগ্রহ করে। সুপারিশমালা প্রস্তুতে এসব প্রস্তাব ও মতামত বিবেচনায় নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।