
অনলাইন ডেস্কঃ
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতারা কুরআনের তাফসির মাহফিলে গিয়ে রাজনীতি করছে। কোরআনের নামে জামায়াতে ইসলামীকে উপস্থাপন করা মুনাফেকী কাজ। কোরআনের তাফসির মাহফিল করবেন, সেখানে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের বক্তব্য হাদিস কোরআন থেকে আলোচনা করবেন। এরমধ্যে জামায়াতে ইসলামী কি হাদিস-কোরআনের কোনো অংশ? তাহলে মুনাফেকী করছেন কেন?
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) বিকেলে জামালপুর সদর উপজেলার চাটাইডুবি বাজারে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ আরও বলেন, দুখের সাথে বলতে হচ্ছে, জামায়াতের কয়েকজন আলেম বিএনপিকে নিয়ে যে কটুক্তি করছে, তা ঠিক নয়। গত ৪০ বছর ধরে জামায়াতের সাথে বিএনপির পথচলা। আন্দোলন সংগ্রামেও একসাথে কাজ করেছে। এখন আপনারা এককভাবে নির্বাচন করবেন, তাতে কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু নির্বাচন করতে গিয়ে যদি বিএনপির সমালোচনা করেন, তাহলে কিন্তু অতীতের রেকর্ড রয়েছে। আপনারা এককভাবে কয়টা ও বিএনপির সাথে জোট বেঁধে নির্বাচন করে কয়টা আসন পেয়েছেন। যখনই বিএনপিকে ছাড়া এককভাবে নির্বাচন করেছেন, তখনই জনগণ প্রত্যাখান করেছে।
সভায় কুরুচিপূর্ণ ও বির্তকিত বক্তব্য দেয়ায় ইসলামী বক্তা আমীর হামজার প্রতি প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ইসলামী বক্তা আমীর হামজা আমাকে নিয়ে কিছু গুজব ও বিভ্রান্তকর মন্তব্য ছড়িয়েছেন। আমি বলবো, জনাব আমীর হামজা আপনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, কোরআন ও হাদিসের আলোকে তার সঠিক ব্যাখা দিবেন। তা না পারলে পরবর্তীতে আপনার কাছে এর জবাব নিবো।’
হারুনুর রশীদ আরও বলেন, আমি এখনো অনেক তাফসির মাহফিলে যাই। কিন্তু কখনো সেখানে গিয়ে ভোট চাই না। তাফসির মাহফিলের জায়গা ভোট চাওয়ার জায়গা নয়।
জামায়াতের নেতাদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই পথ থেকে আপনার সরে আসুন। না হলে এদেশের আলেম সমাজ, ধর্মপ্রাণ মানুষ আপনাদেরকে প্রত্যাখান, প্রত্যাহার করবে।
হারুনুর রশীদ বলেন, ‘বক্তব্যে আমীর হামজা বলেছেন, নুরুল ইসলাম বুলবুল নাকি আমার সাথে ভোট করলে আমি হেরে যাব। অথচ ২০১৮ সালে ৭৪ হাজার ভোটে আমার কাছে পরাজিত হয়েছে। এমনকি আরো দুইবার আমার কাছে পরাজিত হয়েছে জামায়তের প্রার্থীরা। সুতরাং একজন আলেম হয়ে তাফসির মাহফিলে এমন মিথ্যা কথা বলা উচিত নয়। উনি আমাকে শয়তান বলেছে। আদম সন্তানকে শয়তান বলা যায় না। আদম সন্তান আল্লাহকে শিজদাহ করে, শয়তান করে না। আবার বলেছেন, আমার নাকি জানাজা পড়া জায়েজ হবে না। হাদিস কোরআনের আলোকে এসব বক্তব্যের ব্যাখা দিতে হবে।’
ইসলামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহরুল হকের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক তসিকুল ইসলাম তসি, সদর উপজেলা কৃষকদের আহ্বায়ক তাসেম আলী, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, আতাউল হক কমলসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।