
অনলাইন ডেস্কঃ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছেলে ভারতের আইপিএলে জুয়া খেলে ২৭ লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত হয়েছেন। দেনার দায়ে মানুষের চাপে মা দীপালী রানী পাল (৫৫) বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবার দাবি করেছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে মা দীপালী রানী পাল ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
দীপালী রানী পাল ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ পালপাড়া গ্রামে নিরঞ্জন পালের স্ত্রী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীপালী রানী পাল দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ ছিলেন। তাছাড়া ভাঙ্গা বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী তার ছেলে অনিল পাল আইপিএলে জুয়া খেলে ২৭ লাখ টাকা দেনা হয়ে পড়েন। পাওনাদারদের চাপে স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনিল পাল ব্যবসা বন্ধ করে বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু পাওনাদাররা তার বাড়িতে গিয়ে টাকা আদায় করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দিতে থাকেন। দেনার চাপ মা দীপালী রানী সহ্য করতে না পেরে সোমবার সকালে ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়ির লোকজন তাকে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দীপালী রানীর এক ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।
হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও মুনসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মো. আলমগীর মোল্লা বলেন, ‘ছেলে আইপিএলে জুয়া খেলে অনেক টাকা দেনায় পড়েছেন। বাড়িতে পাওনাদাররা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। তাছাড়া দীপালী রানী কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। সবমিলিয়ে মনের দুঃখে ইঁদুর মারা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান জানান, ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে দীপালী রানী পাল নামের এক মহিলা আত্মহত্যা করেছেন। তার মরদেহটি হাসপাতাল থেকে মর্গে পাঠিয়েছেন। ওই গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।