
বিশেষ প্রতিনিধি:
স্বচ্ছতা- পরিচ্ছন্ন ও পরিবর্তনের রাজনীতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন ৯০ এর দশকের জনপ্রিয় ছাত্রনেতা, সুন্দরবন কলেজ থেকে ৮০র দশকে নির্বাচিত ভিপি তরিকুল ইসলাম জহির। আসন্ন খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলনে জহির সভাপতি প্রার্থী হিসেবে হিসাবে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই পদে প্রার্থী হিসেবে হেভিওয়েট নেতা এডভোকেট শফিকুল আলম মনা রয়েছেন। মনা বর্তমান কমিটিতে আহবায়ক হিসাবে আছেন। দুই প্রজন্মের দুই নেতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ইতিমধ্যে নানা কারণে আলোচনা এসেছে প্রতি।
জহির বর্তমান আহবায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক। একজন কর্মীবান্ধব নেতা। এর আগে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। যুবদলের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি জহির একজন প্রতিষ্ঠিত মৎস্য রপ্তানিকারক।
খুলনার প্রতিষ্ঠিত মৎস্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আসিয়া সি ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির। সাবেক ছাত্রনেতা ও চিংড়ি রপ্তানিকারক হিসাবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে অন্তত দেড়শো কোটি টাকার চিংড়ি ও সাদা মাছ প্রতিবছর রপ্তানি হয়ে থাকে। তৃণমূল থেকে উঠে আসা জহির আপাদমস্তক একজন রাজনীতিবিদ। খুলনা উন্নয়নে দলের হয়ে ৮০র দশক থেকে ফ্রন্ট লাইনের ফাইটার। দলের জন্য নিবেদিত প্রান। খুলনা ক্লাব, খুলনা শিশু হাসপাতালসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন জহির।
নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বাৎসরিক কোয়ালিটি ইন্সপেকশন ও অডিট চলমান। তারপরেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সময় না দিয়ে জহির সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। স্বচ্ছতা- পরিবর্তন ও সংগঠনের কাছে জবাবদিহিতা এমন ভিন্ন বক্তব্য দিয়ে জহির দলের নেতা-কর্মীদের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন। জহিরকে নিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা এবার বেশ আশাবাদী।
নেতাকর্মীরা সব সময় তাকে মাঠে চায়, বিভিন্ন সময়ের গ্রুপিং দলীয়করণ অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে দু এক সময় নীরব থাকলেও মাঠ ছেড়ে দূরে কখনোই থাকেন নি জহির।
আর বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় তৎকালীন শাসক দলের হামলায় কোম্পানি কয়েক কোটি টাকার মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আলাপকালে জহির এই প্রতিবেদককে বলেছেন, দলে যদি দায়িত্ব নেয়ার সুযোগ আসে, তবে প্রথমেই তিনি দলে শুদ্ধি অভিযান চালাবেন। জহির জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলে অরাজকতা, চাদাবাজি ঠেকাতে যেভাবে দিনরাত পরিশ্রম করছেন, তাতে দল আরও এগিয়ে যাবার কথা।
কিন্তু কিছু কিছু দুর্বৃত্তপণা, দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজিতে আজ আমরা বিব্রতকর অবস্থায় আছি। এটার পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। গুটি কয়েক নেতার কারনে জিয়া- বেগম জিয়ার বিএনপি আজ খুলনাতে বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। এসবের অবসান হওয়া উচিৎ।
জহির আরও জানান, নেতাদের অবশ্যই দলের কাছে, দলের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কাছে জবাবদিহিতা থাকা উচিত। একজন নেতা ভালো হলে দলের কর্মীরা অবশ্যই ভালো হবে, ভালো থাকবে। ৫ আগস্টের পরে আজ খুলনাতে যে অবস্থা চলছে, তাতে আমরা যদি সংশোধন না হই, তবে আওয়ামী লীগের চেয়েও আমাদের অবস্থা বাজে হবে। সভাপতি পদে জয়ী হবার যথেষ্ট আশাবাদী জহির।