
অনলাইন ডেস্কঃ
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ঘিরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর করা হয়েছে সম্মেলন মঞ্চ ও কয়েকটি মোটরসাইকেল।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ইউনিয়নের তেঘরিয়া সাদেহ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, জাকির হোসেন, মুকুল, রিপন, লিটন, শ্যামল, শফিকুল ইসলাম ও মমিনুল। আহতরা সবাই বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের রাজনীতিতে জড়িত।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারগঞ্জের চরপাকের দহের তেঘুরিয়ায় শুক্রবার বিএনপির সম্মেলন হওয়ায় কথা। এই সম্মেলন নিয়ে বিএনপি ইউনিয়ন শাখার সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মজনু ফকির ও সভাপতি প্রার্থী বিপ্লব তরফদারের সমর্থকদের কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে ওই মাঠে সম্মেলনের মঞ্চ তৈরি করা হয়। ওই মঞ্চ দেখতে বিপ্লব তরফদারের নেতা-কর্মীরা ওই মাঠে যান। এ সময় শাহ মো. মজনুর ছেলে শাহ মোস্তাক আহাম্মেদের নেতৃত্বে তাদের (বিপ্লব তরফদারের নেতা–কর্মী) ওপর হামলা করা হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সাতটি মোটরসাইকেল ও সম্মেলনের মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী শফিকুল ইসলাম, ছাত্রদল কর্মী আল আমিন ও শ্যামল মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শাহ মোহাম্মদ মজনু ফকির এই ঘটনায় সভাপতি প্রার্থী বিপ্লব তরফদারকে দায়ী করে বলেছেন, ১৭ বছর তার কোন দেখা পাইনি এলাকাবাসী। হঠাৎ এলাকায় এসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।
একইভাবে বিপ্লব তরফদার এই ঘটনার জন্য মজনু ফকির ও শফিউল ইসলামকে দায়ী করে সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছেন।
এদিকে সংঘর্ষের জেরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন বিএনপি মাদারগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক এডভোকেট মঞ্জুর কাদের বাবুল খান।
মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ওই ইউনিয়নে বিএনপির সম্মেলন হবে। একে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সম্মেলনের মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।