
অনলাইন ডেস্কঃ
বাংলাদেশের কোনো এনজিওকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেয়া প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রম্পের বক্তব্যকে ‘অসত্য’ বলে মনে করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। তবে বাংলাদেশের এমন অবস্থান দুই দেশের সাথে সম্পর্কে কোন প্রভাব ফেলবে না বলে মনে দাবি করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. তৌহিদ হোসেন। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলবের মতো বাড়াবাড়িতেও সরকার যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
গেলো ২২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের কোন এনজিওকে ইউএসএআইডির মাধ্যমে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেয়ার তথ্য প্রকাশ করেন। ট্রাম্প বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে এই অর্থ এমন এক প্রতিষ্ঠানের হাতে গেছে যার নাম কেউ কখনো শোনেনি আর সেখানে কাজ করেন মাত্র দুই জন।
ট্রাম্পের সেই বক্তব্যের আট দিন পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের এমন কোন সংস্থাকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেয়ার তথ্যটি অসত্য। মঙ্গলবার, এই প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন ছিলো, কোন তদন্তের প্রেক্ষিতে তারা এটিকে অসত্য বলছেন?
জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. তৌহিদ হোসেন বলেন, এটির কোনও তদন্ত করা হয়নি। আমরা খোঁজ নিয়েছি যে, বিষয়টি কী। এখানে দুই ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান আছে কিনা। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি- আসলে মার্কিন একটি প্রতিষ্ঠানকে টাকাটা দেওয়া হয়। তারা এখানে বিভিন্ন এনজিও’র সঙ্গে কাজ করে। অর্থ সবই প্রোপার চ্যানেলে এসেছে। এখানে দুই ব্যক্তিকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেয়া হয়েছে- বিষয়টি সেরকম নয় বলে তিনি জানান।
‘এ ধরনের উসকানিমূলক মন্তব্যের কারণে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে সমন করা হয়েছে’, এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এটাকে আমি কোনও উসকানিমূলক মন্তব্য বলে মনে করি না। একটি বিবৃতি দিয়েছি। আমরা দেখেছি যে, এটাতে তেমন কোনও ভিত্তি দেখা যাচ্ছে না। উনি (মার্কিন প্রেসিডেন্ট) এটাতো স্পষ্ট করে বলেননি যে, বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। এ রকম কোনও কথা তিনি বলেননি। তিনি দুই ব্যক্তি বলে কাকে বোঝাতে চেয়েছেন- সেটি আমি জানি না। কাজেই এরপর আমরা কোনও বাড়াবাড়ি করার প্রয়োজন দেখি না।
বাংলাদেশের বিবৃতিতে ‘অসত্য’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটি বলাই যায়। যেহেতু আমরা কোনও কিছু খুঁজে পাইনি। এ রকম কোনও কিছু নেই। কাজেই এটি যে ঠিক না, সেটাই বলা হয়েছে।