
অনলাইন ডেস্কঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
আসসালামু আলাইকুম!!
আসলে আমি কি ভাবে শুরু করবো আমার জানা নেই। কি শুরু হয়েছে আমাদের এই বাংলাদেশে। শিশু মেয়ে মহিলা,কোন বয়সের ভেদাভেদ নেই। কে মার বয়সী, কে বোনের বয়সী, কে খালা চাচি সন্তান আত্মীয়-স্বজন কোন সম্পর্কই ছাড় দিচ্ছে না।
এরা তো নরপিশাচ থেকে ও ভয়াবহ! আমরা কোথাও কোন জায়গাতেই নিরাপত্তা পাচ্ছিনা। আমাদের এই নারী সমাজ নিয়ে অবশেষে মারা গেলো মাগুরা হাসপাতালে সেই ছোট্ট নিষ্পাপ অবুঝ শিশু মেয়েটি।
বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল বাচ্চা মেয়েটা। বড় বোন কিছুক্ষণের জন্যে বাইরে গিয়েছিল। তারপর দুপুরের দিকে বড় বোন বাসায় এসে দেখে রুমের লাইট নিভানো। তড়িঘড়ি করে লাইট
জ্বালিয়ে দেখে তার আদরের ছোট বোনটা এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে,চেহারাটা ফ্যাকাসে!!
বড় বোন বুঝতে পারেনা,তার ছোট্ট বোনের সাথে কি হয়েছে। অনেক সময় পর বুঝতে পারে। তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে।
বড় বোন শাশুড়ীকে হাত জোড় করে তার বোনটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে অনুনয়-বিনয় করে। কিন্তু শাশুড়ি তখন নিষেধ করেছিল ঘটনাটা যাতে কেউ না জানে বা জানাজানি না হয়। জানাজানি হলে নাকি মানসম্মানে কমতি পড়বে তাদের।
তারপর বহু কষ্টে শাশুড়ীকে রাজি করিয়ে, বড় বোন ছোট বোনটাকে নিয়ে আসে মাগুড়া হাসপাতালে কোন রকম ভাবে। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ফেলে শাশুড়ি পালিয়ে যায় সেখান থেকে।
হাসপাতালে আনার পর বাচ্চা মেয়েটার অবস্থা আরও বেশি গুরুতর হয়ে পড়ে। ব্যথায় কাতরাচ্ছিল শুধু..!! বাচ্চা মেয়ে বয়স আর কতোই হবে ৮ বা ৯..!! যৌনতার কিছুই বুঝে না..! শিশু মেয়েটির তো পুতুল নিয়ে খেলার বয়স।
মেয়ের মা এবং বোনের সন্দেহ দুলাভাই সজীব এবং শ্বশুর হিটুর প্রতি। জোরালো সন্দেহের দানা বিন্দু বাঁধে দুলাভাই সজীবের প্রতি, যেহেতু তার রুমেই ছিল বাচ্চা মেয়েটা।
মেয়ের মা এবং বোন মিলে এখনও অসহায়ের মত পড়ে আছে হাসপাতালে। তাদেরকে সাহায্য করতে কোন তৌহিদী জনতা আসেনি..! আসেনি কোন নারীবাদী সংগঠন..?
আসেন কমেন্টে ২/৪ টা গালি দিয়ে নিজের দায়িত্ব পালন করে যাই। আমাদের দৌরাত্ম্য তো আসলেই এই অবধিই…..
বিএনপি নেত্রি শাহানার ফেস বুক ওয়াল থেকে…